Delhi Assembly Election 2025

কেজরীওয়ালের মুখে ‘ব্যর্থতা’র কথা! তিন প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি, করলেন স্বীকার

ভোটপ্রচারে গিয়ে আপ প্রধান এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তাঁর পুরনো তিন প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তিনটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা পূরণ করতে পারিনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৯
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

আর মাত্র হাতেগোনা কয়েক দিন। তার পরই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। আম আদমি পার্টি (আপ), বিজেপি, কংগ্রেস জোরকদমে প্রচার সারছে। দিল্লিবাসীর জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতির ডালি সাজচ্ছে তারা। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপ একের পর এক ভোট-প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে রাজ্যবাসীকে। সেই আবহেই কেজরীওয়াল তাঁর তিন প্রতিশ্রুতির কথা মনে করালেন। দিল্লিবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই তিন প্রতিশ্রুতি পূরণ করেত পারিনি।’’

Advertisement

ভোটপ্রচারে গিয়ে আপ প্রধান এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তাঁর পুরনো তিন প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তিনটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা পূরণ করতে পারিনি।’’ কী সেই তিন প্রতিশ্রুতি? কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘প্রথম, যমুনা নদী পরিষ্কার করা। দুই, দিনের ২৪ ঘণ্টাই পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ। আর তিন, দিল্লির রাস্তাগুলি ইউরোপের রাস্তার মানে তৈরি করা।’’

২০২৩ সালে কেজরী জানিয়েছিলেন, ২০২৫-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যমুনা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাতে তিনি ডুব দেবেন। বিরোধীরা প্রায়শই কেজরীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন। এ বার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না করতে পারার ব্যর্থতার কথা বললেন। তবে তিনি এ-ও জানান, এই তিন প্রতিশ্রুতিই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পূরণ করবেন।

Advertisement

দিল্লির দূষণ এবং যমুনা দূষণ নিয়ে বিজেপি তো বটেই কংগ্রেসও কেজরীওয়ালকে নিশানা করছে। কংগ্রেসের দাবি, কেজরীওয়ালের জমানাতেই রাজধানীতে বিষাক্ত বায়ু এবং যমুনা দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপ সরকার বার বার দিল্লির দূষণের জন্য পড়শি রাজ্যের কৃষকদের খড় পোড়ানোকে দায়ী করে। যা একেবারেই ‘ন্যায়সঙ্গত’ বলে মত আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নতুন দিল্লির কংগ্রেস প্রার্থী সন্দীপ দীক্ষিত। তাঁর মতে, ‘‘খড় পোড়ানোর রীতি বহু যুগ ধরেই চলে আসছে। কিন্তু এত দিন বায়ুদূষণ এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায়নি। দূষণের মূল কারণ রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সরকারের গণপরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক নীতি না থাকাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement