প্রতীকি ছবি
রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানোর সময়ে একটি মালবাহী গাড়িকে আসতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল গোয়েন্দাদের। গাড়িটি আটকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে চালক এবং সহকারী জানায়, গাড়িতে ফাঁকা ক্রেট রয়েছে। তারা কলা নামিয়ে ফিরছে। সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের। ফাঁকা ক্রেট নামিয়ে তল্লাশি করতেই দেখা যায়, থরে থরে সাজানো প্যাকেট। যা খুলতেই বেরিয়ে আসে গাঁজা। বুধবার বিকেলে, হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকার ধূলাগড় টোল প্লাজ়ার ঘটনা। এই ঘটনায় সিআইডি-র নার্কোটিক্স শাখার গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছেন দু’জনকে।
সব মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ২৩৩ কেজি গাঁজা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুরজ দত্ত ওরফে বান্টি এবং রাহুল শেখ। তাদের বাড়ি নদিয়ার মুড়িটিয়ায়। দু’জনে ওই ট্রাকেই ছিল। ধৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ওই মাদক ওড়িশার জাজপুর জেলার বালিবিরি থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেটি যাওয়ার কথা ছিল নদিয়ার করিমপুর, রাজাপুরের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখান থেকে এজেন্ট মারফত বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
গত মাসেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে তল্লাশি চালিয়ে সিআইডি প্রায় তিরিশ লক্ষ টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল। ওই মাদকও নিয়ে আসা হচ্ছিল ওড়িশা থেকে। যাওয়ার কথা ছিল উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায়। সিআইডি-র দাবি, গত কয়েক মাসে ওড়িশা থেকে গাড়িতে করে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে গাঁজা পৌঁছে দিয়েছে ধৃত মাদক পাচারকারীরা।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, সিআইডির তল্লাশির চাপে বর্তমানে রাজ্যে গাঁজা চাষে ভাটা পড়েছে। তাই ভিন্ রাজ্য থেকে গাঁজা আনা হচ্ছে এই রাজ্যে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এই রাজ্য থেকে লরি বোঝাই ফল বা আনাজ নিয়ে ওড়িশা যাওয়া হয়। ফেরার পথে সেই ফাঁকা লরির ক্রেটের আড়ালে পৃথক চেম্বার করে লুকিয়ে মাদক আনা হচ্ছে।