প্রতীকী ছবি।
শীত বিদায় নিতে না-নিতেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী! সরস্বতী পুজোর আগেই কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছে। একই ছবি দমদমেও। কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুরেও রাতের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামেনি।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ, মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর দিনেও মহানগরের আবহাওয়া একই রকম থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, পুজোর দিনে শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি এবং ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। তবে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের কোনও কোনও জেলায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের উপকণ্ঠ দমদম এবং
ব্যারাকপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২০.৫ ডিগ্রি এবং ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হলেও বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প এখনও কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে ঢোকেনি। তার ফলে বাতাস এখনও শুষ্ক। কেউ কেউ বলছেন, গভীর রাতে বা ভোরে হাল্কা হিম মিলছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, পুরুলিয়া, আসানসোল, পানাগড়ের মতো কয়েকটি এলাকায় এখনও তুলনায় তাপমাত্রা একটু কম রয়েছে। সেখানে রাতের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
আবহবিদদের মতে, উত্তুরে বাতাস নেই, দিনে রোদের তাপ বাড়ছে এবং গভীর রাতে হিমেল ভাব থাকবে— একেই বলে বসন্তকাল। একসময় দোল পর্যন্ত খাস কলকাতা বা শহরতলিতেও এমন আবহাওয়া মিলত। কিন্তু জলবায়ু বদলের চক্করে ঋতু বৈচিত্র কমছে। মহানগর বা লাগোয়া এলাকায় তার প্রভাব বেশি। বিহার বা ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে এখনও তুলনায় বসন্তের আবির্ভাব বোঝা যায়। তবে এই পরিস্থিতি কত দিন টিঁকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই। আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, আচমকা বঙ্গোপসাগরে কোনও উচ্চচাপ বলয় তৈরি হলেই জোলো বাতাস হুড়মুড়িয়ে ঢুকবে। তখনই এক লাফে বাতাসের আর্দ্রতা বাড়তে শুরু করবে।