প্রতীকী ছবি।
রাস্তা মজবুত করতে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বিশেষ যন্ত্র। রাজ্যের সর্বত্র সেই যন্ত্র দিয়ে রাস্তাসংস্কারের কাজ হচ্ছে। বাদ নেই ভিআইপি রোডও। সেই কাজের ফাঁকেই ওই রাস্তায় ঘটে গিয়েছে একটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, ওই যন্ত্র দিয়ে কাজ করার পরেও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আর তারই জেরে বুধবার রাতে ভিআইপি রোডে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পূর্ত দফতরও।
রাস্তা মজবুত করতে ‘মেকানাইজ়ড লেয়িং পেভার’ নামে একটি যন্ত্র জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এক সময়ে মহারাষ্ট্র ওই যন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা মজবুত করার কাজ করত। ওই যন্ত্র গোটা রাস্তা জুড়ে পিচ-সহ বিভিন্ন উপকরণ ফেলে রাস্তা তৈরি করতে করতে চলে। শুধুমাত্র চাকার অংশটি যতটা জায়গা জুড়ে থাকে, সেটুকু অংশে রাস্তা নিজেদের তৈরি করে নিতে হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে ওই কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তেঘরিয়ার কাছে ওই যন্ত্র দিয়ে কাজ হয়েছে। হলদিরাম পর্যন্ত কাজ হওয়ার কথা।
বুধবার, বৃষ্টির রাতে সোদপুরের বাসিন্দা এক মোটরবাইক-আরোহী ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে চাকা পিছলে ছিটকে পড়েন। সেই সময়ে পিছন থেকে এসে একটি গাড়ি তাঁকে চাপা দেয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশের দাবি, ওই যন্ত্রের মাধ্যমে পূর্ত দফতর রাস্তার হাল ফিরিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু যন্ত্রের চাকার তলার যে অংশটি কর্মীদের দিয়ে করানোর কথা, সেখানে কাজ শেষ হয়নি। তার জেরে রাস্তার ঢাল এখনও অসমান রয়েছে। বাইকচালকেরা সমস্যায় পড়ছেন। বুধবার রাতে সোদপুরের বাসিন্দা ওই বাইকচালকও একই সমস্যার শিকার হন বলে মনে করছেন ট্র্যাফিককর্মীরা।
যদিও পূর্ত দফতরের দাবি, তেমনটা হওয়ার কথা নয়। রাস্তার ঢাল এতটাও অসমান নয় যে, বাইকের চাকা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে ওই বাইকচালক কত গতিতে ছুটছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আধিকারিকেরা। তাঁদের ব্যাখ্যা, যন্ত্রের মাধ্যমে কাজের পরে কর্মীরা রাস্তার দু’দিকের ঢাল সমান করে দেওয়ার কাজ করেন। সেই কাজ করতে খানিকটা সময়ের প্রয়োজন।
পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। তবে দেড় ইঞ্চির মতো ঢালের তফাতের জন্য বাইকের চাকা পিছলে যাওয়ার কথা নয়। যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে ঢাল মেলানোর কাজ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি না হয়ে থাকে, তবে দ্রুত ওই কাজ শেষ করা হবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।