ফাইল চিত্র।
দ্বিশতবর্ষ পূরণ করে ২০১-এ পা। তাই শুধু ওয়েবিনারেই নয়, আজ, বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মূর্তিতে মালা পরানো হবে, ছোট করে হলেও অনুষ্ঠান করবে বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা আসছেন না, এলেও খুব কম আসছেন। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসছেন। পড়ুয়ারা সকলেই যাতে অনুষ্ঠান দেখতে পান, তার জন্য জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান ইউটিউবে বা স্কুলের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলে জানাচ্ছেন কয়েকটি স্কুল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই মতো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করে রেখেছেন তাঁরা।
যেমন, বিদ্যাসাগরের স্মৃতিবিজড়িত গাছকে ঘিরেই অনুষ্ঠান করবে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া সিংহ মহাপাত্র (নাগ) জানালেন, ঝাড়খণ্ডের কর্মাটাঁড়ে থাকাকালীন বিদ্যাসাগর তাঁর বাড়ির আশপাশে প্রচুর আম গাছ পুঁতেছিলেন। তারই একটি আমের আঁটি এনে স্কুলের মাঠে পোঁতা হয়েছিল দু’বছর আগে। খানিকটা বড় হওয়া সেই গাছের সামনে আজ, শনিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন কয়েক জন শিক্ষিকা, ছাত্রী। পাপিয়াদেবী বলেন, “শুধুমাত্র অনলাইন আলোচনায় বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করতে চাইনি। এই গাছ ঘিরে তাই অনুষ্ঠানের আয়োজন।”
২০১৯ সালের ১৫ মে বিদ্যাসাগর কলেজের মূর্তি ভেঙে তাণ্ডব চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর চলে কলেজেও। শিক্ষাঙ্গনে এমন হানায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশ জুড়ে। ঘটনার পরপরই বিদ্যাসাগরের নতুন মূর্তি বসানো হয়েছে সেখানে। এ বার তার উপরের ছাউনির কাজ শেষ হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু (দিবা বিভাগ) বলেন, “শনিবার বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দেওয়া হবে। আসার কথা শিক্ষামন্ত্রীর।” সঙ্গে থাকছে ওয়েবিনারের আয়োজন। গৌতমবাবু জানান, যদিও অন্য মতে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন তাঁরা ২৯ সেপ্টেম্বরই পালন করে থাকেন। গত এক বছর ধরে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে তাঁদের যত অনুষ্ঠান হয়েছে, সে সবও ইউটিউবে আপলোড করা হবে।
বেথুন কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণা রায় জানাচ্ছেন, অনলাইন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শনিবার তাঁদের প্রধান আকর্ষণ বিদ্যাসাগরের উপরে কলেজের প্রকাশিত একটি বই। তিনি বলেন, “চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে কলেজে একটি আলোচনার আয়োজন হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের বক্তা ও কিছু আমন্ত্রিত লেখকের লেখা নিয়ে বিদ্যাসাগরের উপরে বই প্রকাশ করা হবে।” বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেনের এক শিক্ষিকা অত্রি সাহা জানান, কলেজ প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত মূর্তিতে মালা পরানোর পাশাপাশি দুপুর থেকে গুগল মিটে তাঁকে ঘিরে আলোচনা চলবে। সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের পড়ুয়ারা অবশ্য অনলাইনেই বিদ্যাসাগরের নানা দিক তুলে ধরবে, জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।