কলকাতা বিমানবন্দরে হেনস্থার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খানের। ছবি- ফেসবুক থেকে গৃহীত
কলকাতা বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনটাই অভিযোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খান।
মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে কাফিল অভিযোগ করেন যে, লখনউ ফেরার পথে মঙ্গলবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী(সিআইএসএফ)-র জওয়ানরা সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় তাঁকে কোমরের বেল্ট, জুতো খুলতে বাধ্য করেন। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিআইএসএফের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সুর্নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই তাঁর তল্লাশি হয়েছে। তাদের দাবি, কোনও ধরনের হেনস্থার কোনও প্রশ্নই নেই।
স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া আয়োজিত ‘ডেমোক্রাসি অ্যান্ড স্টেট’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছিলেন কাফিল খান। তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন ওই আলোচনার পর। রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই ‘ফেসবুক লাইভ’ করেন। ওই ভিডিয়োতে তিনি অভিযোগ করেন, এর আগে দেশের কোথাও তাঁকে এভাবে জুতো খুলতে হয়নি। তিনি বলেন তাঁকে ফোনও ব্যবহার করতে দেননি নিরাপত্তা রক্ষীরা।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের শিক্ষক ছিলেন কাফিল খান। ২০১৭ সালে তিনি শিরোনামে আসেন ওই হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন মজুত না থাকাতেই, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয় একের পর এক নবজাতকের। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কী ভাবে তিনি অক্সিজেন জোগাড় করে শিশুদের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। যদিও উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার কাফিলকে সাসপেন্ড করে এবং পরবর্তীতে তাঁকে প্রতারণা, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মতো অভিযোগে গ্রেফতার করে। ২০১৮ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: বন্ধ উড়ালপুল, উল্টোডাঙা এবং হাডকো মোড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ পুলিশের
কাফিলের অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে যে, তাদের কাছে হেনস্থার কোনও অভিযোগ করেননি ওই চিকিৎসক। অন্যদিকে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-র এক শীর্ষ কর্তা বলেন,‘‘অন্য যাত্রীদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম পালন করা হয়, ওই যাত্রীর ক্ষেত্রেও ঠিক তাই করা হয়েছে। তাঁর ক্ষেত্রে কোনও বাড়াবাড়ি করা হয়নি।”