—প্রতীকী ছবি।
এক নাবালিকা পরিচারিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে রবিবার রাতে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বছর ষোলোর ওই নাবালিকাকে কয়েক বছর আগে নিয়ে এসে পরিচারিকার কাজে লাগানো হয় বলে জেনেছে পুলিশ। তবে তাকে কেন বাড়ির কাজে লাগানো হয়েছিল, কোনও মানসিক অবসাদ থেকে তার মৃত্যু কি না— ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে সে সব তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। ফ্ল্যাটের মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লালবাজার জানাচ্ছে, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে পাখা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের কাছে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের দাবি, সে সময়ে কেউ বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা বাড়ি ফিরে নাবালিকাকে ওই অবস্থায় দেখেন। যদিও ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়েছে।প্রতিবেশীদের দাবি, বছর চারেক আগে মেয়েটিকে নিয়ে এসেছিল ওই পরিবার। তবে তাকে ফ্ল্যাটের বাইরে কখনওই দেখা যায়নি। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, নাবালিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেই রাতেই তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় এসেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, ওই নাবালিকার নিজের বলতে কেউ নেই বলেই জানিয়েছেন সেই আত্মীয়। মেয়েটির ছোটবেলাতেই ওই পরিবার তাকে শহরে নিয়ে আসে। তার পরে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন কেমন ব্যবহার করেছেন, তা জানা যায়নি।
এই ঘটনা নিয়ে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় জানান, তাঁরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি জানান, ১৪-১৮ বছর বয়সি কাউকে দিয়ে কোনও ঝুঁকিপূর্ণ বা কায়িক পরিশ্রমের কাজ করানো যায় না। তিনি বলেন, ‘‘১৬ বছরের মেয়েকে দিয়ে পরিচারিকার কাজ করানোর কথা নয়। তবে সে ফ্ল্যাটে কী কাজ করত, কাজের মধ্যে বড় পরিশ্রমের ও ঝুঁকির কোনও কাজ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’’