Death

ডেঙ্গি ও জ্বরে মৃত্যু দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা কিশোরী এবং যুবকের

পুরসভা সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। সেই তালিকায় শনিবার যুক্ত হল দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার নাম। সেখানকার বাসিন্দা, ষোলো বছরের এক কিশোরীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। আবার ওই পুর এলাকারই এক যুবক জ্বরে মারা গিয়েছেন।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, দমদমের দেবেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম মধু সিংহ। এ দিন দুপুরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোম এবং ডেঙ্গি হেমারেজ়িক ফিভারের উল্লেখ রয়েছে। সূত্রের খবর, দিনকয়েক ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল ওই কিশোরী। দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে তাকে আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার একটি হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন পরিজনেরা। সেখান থেকে সন্ধ্যায় কিশোরীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ স্থানান্তরিত করা হয় মধুকে। সেখানেই এ দিন দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ দিকে, বেলেঘাটা আইডি থেকে ওই কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে ফের দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এক পুরকর্তা জানান, ওই কিশোরীর পরিবারের মনে হয়েছিল, বাড়ি নিয়ে আসার পরেও মেয়েটির শ্বাস ওঠা-নামা করছে। যদিও সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা করে পরিবারকে জানান, কিশোরীর মৃত্যুই হয়েছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। তাঁদেরই এক জন হলেন প্রীতম ভৌমিক (৩৪)। দমদম থানার অস্থায়ী হোমগার্ড পদে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। সম্প্রতি তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। রক্ত পরীক্ষায় এনএস-১ পজ়িটিভ এসেছিল। জানা যাচ্ছে, জ্বর থেকে সেরে উঠে কাজে যোগও দিয়েছিলেন যুবক। শুক্রবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অনেক রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রীতমের বাড়িতে মা ও ভাই রয়েছেন।

ওই পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের কাছে একান্ত অনুরোধ, জ্বর হলে তাঁরা রক্ত পরীক্ষা করান। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বার বার সেই আবেদন রাখছেন বাসিন্দাদের কাছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে সাড়া মিলছে না। অনেকে জ্বর হওয়ার বিষয়টি চেপে যাচ্ছেন।’’

আগের তুলনায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও সচেতনতা এখনও আশানুরূপ নয় বলে জানাচ্ছে পুরসভা। রাজ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৭ হাজারের মতো। সেই তালিকার প্রথমে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলা ছাড়াও হুগলি, নদিয়া এবং কলকাতা-সহ অন্যত্রও ডেঙ্গিতে মৃত্যু হচ্ছে। যদিও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সামগ্রিক ডেঙ্গি পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে কোনও তথ্যই মিলছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement