—প্রতীকী ছবি।
পোস্ট অফিস থেকে দু’টি প্যাকিং বাক্স নিয়ে দুই যুবক দ্রুত মোটরবাইকে চেপে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে। হঠাৎই তাদের সামনে হাজির হলেন কয়েক জন ব্যক্তি। কিছু বোঝার আগেই ওই দুই যুবকের মোটরবাইক থামিয়ে হাতে থাকা বাক্স দু’টি নিয়ে নিলেন তাঁরা। একটি বাক্স খুলতেই বেরিয়ে এল বিদেশি সংবাদপত্রে মোড়া দামি জামা এবং জুতো। দ্বিতীয় বাক্স খুলতেই তাঁরা দেখতে পেলেন, বিদেশি সংবাদপত্রে মোড়া কিছু পাতা। ভাল করে পরখ করে দেখতেই বোঝা গেল, সেগুলি হল বিদেশের উন্নত মানের গাঁজা। এর পরে দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে গিলেন ওই ব্যক্তিরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে এই কায়দাতেই পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার
মুকুন্দপুরে একটি সাব পোস্ট অফিসের সামনে হাজির হয়ে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বিদেশি,
উন্নত মানের ৮৫১ কেজি গাঁজা পাচার আটকে দিয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম তনিষ্ক পাণ্ডে এবং বিবেক অগ্রহরি। ধৃত তনিষ্কের বাড়ি তিলজলার পিকনিক গার্ডেনে আর বিবেকের বাড়ি কসবার নস্করহাটে। ধৃতদের শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই গাঁজা বিশ্বের সব চেয়ে দামি এবং কড়া প্রজাতির। ভারতে এই ধরনের গাঁজা পাওয়া যায় না। ওই পোস্ট অফিসে পার্সেল করে তা পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করার পরে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, অনলাইনে মাদক বিক্রির এই ব্যবসা চলে ‘ডার্ক ওয়েব’-এর মাধ্যমে। ফলে গোয়েন্দাদের পক্ষেও ধরা সম্ভব হয় না যে, কে গাঁজার বরাত দিচ্ছেন এবং আর কার কাছে তা পৌঁছচ্ছে। শুক্রবারও ওই পদ্ধতিতেই বিদেশ থেকে মুকুন্দপুরের পোস্ট অফিসে মাদক পৌঁছেছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে গোয়েন্দারা মনে করছেন, কম্বোডিয়া থেকে ওই গাঁজা পাঠানো হয়েছিল। এই ভাবে এর আগেও মাদক পাচার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।