—ফাইল চিত্র।
টালা ব্রিজে আজ, রবিবার থেকে বাস-সহ তিন টনের বেশি ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ হচ্ছে। চালু হচ্ছে বাসের নতুন বিকল্প রুট। পুজোর বাজারে রবিবারের ভিড় কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে, আজ তা বোঝা যাবে। তবে কাল, সোমবার আসল পরীক্ষা।
প্রশাসনের খবর, অদূর ভবিষ্যতে সারাইয়ের জন্য ব্রিজ পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে। সে কারণে ছোট গাড়ির বিকল্প পথও খোঁজা শুরু হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, চিৎপুর লাইনে লেভেল ক্রসিং তৈরি করে, ব্রিজের গা ঘেঁষে টালা ট্যাঙ্ক রোড হয়ে গাড়ি মন্মথনাথ গাঙ্গুলি রোডে আনা যায় কি না, তা আলোচনা হচ্ছে। কথা বলা হবে রেলের সঙ্গে।
তবে রেল সূত্রের বক্তব্য, চিৎপুর ইয়ার্ড কলকাতায় মালগাড়ি দাঁড়ানোর সব থেকে বড় জায়গা। সেখানে প্রচুর দূরপাল্লার ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। রয়েছে চক্ররেলের লাইনও। ফলে টালা ব্রিজের তলায় লেভেল ক্রসিং করলে তা প্রায় ৩০০ মিটার চওড়া হবে। সরাতে হবে অনেক লাইন ও পোস্ট। সে কারণে লেভেল ক্রসিং কার্যত ‘অসম্ভব’।
ডব্লিউবিটিসি পরিচালিত যে বাসগুলির রুট পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলি হল—
লাইনের দু’দিকে দু’টি অটো রুট চালু করার ভাবনাচিন্তাও হচ্ছে। তা হলে একাধিকবার অটো বদলে অনেকে বাগবাজার ও চিড়িয়া মোড়ের কাছে পৌঁছতে পারবেন। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পরিবহণ দফতর।
শনিবার টালা ব্রিজে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং এডিজি (ট্র্যাফিক) বিবেক সহায়-সহ পুলিশকর্তারা। শ্যামবাজার ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি রাজকুমার সিংহের কাছে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা জানতে চান তাঁরা। অনুজ পরে বলেন, ‘‘ব্রিজে ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বসানো হবে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ব্রিজে ছোট গাড়ির গতিবেগ ১০ কিলোমিটারে রাখা হয়েছে। ব্রিজে যাতে গাড়ি না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করতে নজরদারি থাকবে। ব্রিজের দু’দিকে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পুলিশ, পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা ২৪ ঘণ্টা ব্রিজে থাকবেন। কন্ট্রোল রুমও খুলেছে পুলিশ।
ব্রিজের উপরের ওজন কমাতে ফুটপাতের কংক্রিটের অংশ, বালি তোলা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, বাঁশের খাঁচা খুলেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, পথচারীদের জন্য ব্রিজে আলাদা জায়গা থাকবে।