বিজ্ঞাপন বাজবে মোট্রোয়। ফাইল চিত্র।
মেট্রোর কামরায় বাংলা এবং হিন্দি গান শুনতে পাবেন যাত্রীরা। গানের বিরতিতে অডিয়ো জিঙ্গলস হিসাবে শোনা যাবে বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি আসন্ন স্টেশন সম্পর্কে আগের মতোই ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া রেল এবং মেট্রোর পরিষেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘোষণাও থাকবে। গানের মাঝে বিজ্ঞাপনের পরিবেশনা, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় এই প্রথম চালু হচ্ছে।
এর আগে মেট্রোয় বাংলা নববর্ষ, মহালয়া, দুর্গাপুজোয় গান বা যন্ত্রসঙ্গীতের রেকর্ড বাজানো হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় কিছু দিন আগেও যন্ত্রসঙ্গীত শোনা গিয়েছে। কিন্তু সেখানে বিজ্ঞাপন শোনা যায়নি। এই ব্যবস্থা শুরু করতে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই সংস্থাই গান নির্বাচন এবং বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন জোগাড় করার কাজ করবে। বিনিময়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দেবে তারা। ইতিমধ্যেই মেট্রোর কয়েকটি এসি রেকে ওই প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দিন দশেকের মধ্যে ধাপে ধাপে সব রেকে তা চালু হবে।
এর আগে রাজ্য পরিবহণ নিগমের সাধারণ এসি বাস এবং ভলভো বাসে ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকের পুরনো হিন্দি ছবির গান ছাড়াও জনপ্রিয় বাংলা ছবির গান বাজত সেখানে। শ্রোতাদের মধ্যে তা যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। রাজ্য পরিবহণ নিগমের বিভিন্ন লঞ্চ জেটিতেও পুরনো গান এবং বিজ্ঞাপন বাজানো হয়। পূর্ব রেলও চলতি বছরের শুরু থেকে তাদের একাধিক ইএমইউ রেকে গান বাজানোর ব্যবস্থা করেছে। মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং যন্ত্রসঙ্গীত বাজানো হয় সেখানে। তবে সরকারি, বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন শোনানোর ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি।
সরকারি বাসে ওই ব্যবস্থা জিপিএস প্রযুক্তিতে চললেও মেট্রোয় আগে থেকে রেকর্ড করা গান এবং বিজ্ঞাপন বাজানো হবে। নতুন ব্যবস্থায় মেট্রোর যাত্রী-ভাড়া বহির্ভূত খাতে বিপুল আয়ের রাস্তা খুলবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি মেট্রোর নতুন এসি রেকের গায়ে বিজ্ঞাপন লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলন্ত ট্রেনের কামরার ভিতরে হাতলের উপরের অংশেও বিজ্ঞাপন লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সম্ভাব্য সব ক্ষেত্র থেকে যাত্রী-ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় বাড়িয়ে অতিমারি পরিস্থিতিতে উদ্ভূত ঘাটতি মেটানোই তাঁদের উদ্দেশ্য।