শুভেন্দুকে নিয়ে টুইট করেন অভিষেক। —ফাইল চিত্র।
তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে একাধিক বার তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল রাজ্য। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, আগামী সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
গত বছর একাধিক অভিযোগে রাজ্যের চারটি থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তখন ওই মামলাগুলিতে কলকাতা হাই কোর্ট বিরোধী দলনেতাকে রক্ষাকবচ দেয়। একই সঙ্গে আদালত জানায়, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে আগামিদিনে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার টুইট করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘তমলুক এবং মানিকতলা থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল সম্প্রতি তার তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছে হাই কোর্ট। কিন্তু ওই তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছেন না বিরোধী দলনেতা।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ‘৪১ এ’ ধারায় শুভেন্দুকে তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। শুক্রবার এমতাবস্থায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। আবেদন করা হয়েছে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক আদালত।
শুক্রবার কুণাল দাবি করেছেন, আগামী সোমবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে বিরোধী নেতার ‘ঘনিষ্ঠ’দের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা হয়। তমলুক থানায় দায়ের হওয়া অপর মামলায় অভিযোগ, শুভেন্দু পূর্ব মেদিনীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপারকে রাজনৈতিক সভা থেকে হুমকি দিয়েছেন। ওই সভা থেকেই শুভেন্দু একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এখন কুণালের টুইটারে দাবি, শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষী সুব্রত চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী কাঁথি থানায় মামলা করেছিলেন। তবে এফআইআরে শুভেন্দুর নাম ছিল না। ওই মামলাটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এখন তমলুক এবং মানিকতলা থানার মামলায় যে ভাবে তদন্ত শুরু করতে বলছে আদালত, আগামিদিনে ওই মামলারও তদন্ত শুরু হোক। কুণাল বলছেন, তাঁর আশা, সুব্রতের বিধবা স্ত্রী সুপর্ণা হয়তো এ বার সুবিচার পাবেন।