প্রতীকী চিত্র।
সান্ধ্য মেট্রোর চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। সকালের ব্যস্ত সময়ের চেয়েও সন্ধ্যার মেট্রোর ই-পাস পেতে বেশি আবেদন জমা পড়ছে রোজ। যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা ভেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ বার দিনের অন্তিম মেট্রোর সময় আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। দুই প্রান্তিক স্টেশন, কবি সুভাষ এবং নোয়াপাড়া থেকে দিনের শেষ মেট্রো এখন ছাড়ে সন্ধ্যা ৭টায়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ চাইছেন, শেষ মেট্রো এ বার থেকে ছাড়ুক সাড়ে ৭টায়। সে ক্ষেত্রে পরিষেবা চালু থাকার সময় দাঁড়াতে পারে সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা।
ইতিমধ্যেই সন্ধ্যার দিকে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ আরও তিন জোড়া বা ছ’টি ট্রেন বেশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে সকালের এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে দু’টি মেট্রোর মাঝে সময়ের ব্যবধান ১০ মিনিট থেকে কমে আট মিনিট হবে। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে আবার ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মেট্রো সূত্রের খবর, পুজো এগিয়ে আসায় অনেককেই নানা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে। তার উপরে সন্ধ্যা নামলে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যাও কমে আসে। এই অবস্থায় যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার জন্য মেট্রোকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে। মঙ্গলবার মেট্রোয় যাত্রী-সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৭১১। প্রতিদিনই ওই সংখ্যা কয়েক হাজার করে বাড়ছে। করোনা আবহে যাত্রী-সংখ্যার নির্দিষ্ট হিসেবের কথা মাথায় রেখেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দিনে গড়ে এক লক্ষ ১০ হাজার জন মেট্রোয় চড়তে পারবেন। সেই লক্ষ্যেই পরিষেবায় ছোট ছোট বদল এনে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রীকে মেট্রো চড়ার সুযোগ করে দিতে চান কর্তৃপক্ষ।
এখন প্রান্তিক দুই স্টেশন থেকে দিনের অন্তিম দু’টি মেট্রো সন্ধ্যা ৭টায় ছাড়ায় যাত্রীদের অনেকেই প্রবল সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষত, দমদম, কালীঘাট বা কবি নজরুলের মতো স্টেশনে নেমে যে সব যাত্রীকে বাকি পথের জন্য অটো বা বাস ধরতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা খুবই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই আপাতত আধ ঘণ্টা সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে ওই সময় আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: পাশে অচেনা শহরের ‘বন্ধু’, দেহ ফিরল নিজভূমে
আরও পড়ুন: মণ্ডপ কতটা খোলামেলা হবে, সংশয়ে পুজো উদ্যোক্তারা
এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ‘‘সুরক্ষার সঙ্গে আপস না করে যাত্রীদের কতটা বেশি পরিষেবা দেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাত্রীদের সংখ্যা দিনের কোন সময়ে কতটা বাড়ছে, সে দিকে লক্ষ রাখছি আমরা। সেই অনুযায়ী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’