দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠের গ্রামে বাঘের আতঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠে আবার বাঘের আতঙ্ক। শনিবার রাতে সেখানকার দেবীপুর এলাকায় বাঘ দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। রাত থেকে আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছে গোটা গ্রাম। বন দফতর এলাকায় নজরদারি শুরু করেছে।
দেবীপুরের এই বাড়িতেই শনিবার রাত বাঘ আঁচড় কেটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার রাতে মৈপীঠের দেবীপুরের বাসিন্দারা জানান, তাঁরা বাঘ দেখেছেন। একটি বাড়িতে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে বাঘ বেশ কয়েক বার মেঝেতে আঁচড় কেটেছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ওই বাড়ির বধূ বলেন, ‘‘রাত তখন সাড়ে ৮টা হবে। আমরা খাওয়াদাওয়া করে উঠে সবে বসেছি। বাইরে হঠাৎ একটা আওয়াজ পেলাম। দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি, মেঝেতে বাঘ আঁচড় কাটছে। আমরা সবাই দেখতে পেয়েছি। তার পর বাথরুমের দরজাতেও আওয়াজ করে ছুটে পিছনের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।’’
ঘরের দরজায় বাঘ চলে এসেছে শুনে গোটা গ্রামে আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে। মৈপীঠে অনেকেই রাতে ঘুমোতে পারেননি। রাতেই খবর দেওয়া হয়েছিল বন দফতরকে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা নজর রাখছেন। মনে করা হচ্ছে, বাঘটি গ্রামের পাশেই জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে।
মৈপীঠের দেবীপুরে যে বাড়ির সামনে বাঘ এসেছিল, সেই বাড়ির বাসিন্দা। —নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতি বার বার মৈপীঠের গ্রামে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত রবিবার একটি বাঘকে খাঁচাবন্দি করে বন দফতর অন্যত্র ছেড়ে দেয়। কুলতলির কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘ ঢোকার খবর পেয়ে নজরদারি শুরু করেছিল বন দফতর। জঙ্গলের চার দিক জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছিল। ফলে বাঘের গতিবিধি নির্দিষ্ট একটি এলাকায় সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ঘেরা জায়গার মধ্যে পাতা হয় খাঁচা। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ছাগলকে। খাবারের টানে রবিবার রাতেই খাঁচায় ধরা দেয় বাঘ। এর পরও গুড়গুড়িয়ার গড়েকচকে বাঘের পায়ের ‘টাটকা’ ছাপ দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে সেখানেও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে তাঁরা জানান, বাঘ জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। তার পর আবার শনিবার রাতে একই আতঙ্ক ছড়াল গ্রামে।