গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সম্পত্তি হাতাতে গিয়ে বোনের কাছে ধরা পড়ে গেল দাদার জালিয়াতি। বোনের অভিযোগ, আদালতের নথি জাল করে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করেছিলেন দাদা। কলকাতা পুরসভা এবং আদালতকে অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি বোনের। দাদার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বোনের দাবি, আদালতের নথি বিকৃত করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন দাদা। এখন জামিন না পেয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।
যাদবপুর এলাকায় একটি চারতলা ভবনের অধিকার নিয়ে দাদা ও বোনের দ্বন্দ্ব। বোন দেবযানী দাসের দাবি, দাদা ধীমান রায়চৌধুরী পুরসভায় গিয়ে বলেছেন ওই পৈতৃক সম্পত্তির কোনও ভাগিদার নেই। তিনিই বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সেই মর্মে পুরসভা থেকে ওই সংক্রান্ত কাগজপত্র বার করে আনেন ধীমান। দাদার এমন পদক্ষেপের বিষয়টি জানতে পেরে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেবযানী। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ধীমান আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় আলিপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করেছেন। এমনকি, কোর্টের সিলমোহরও নকল করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বোনের তোলা অভিযোগ সামনে আসতেই আলিপুর জেলা আদালতে জামিনের আবেদন করেন ধীমান। গত শুক্রবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। দেবযানীর আইনজীবী ঝিলম অধিকারী এবং সুমন গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘প্রতারণায় দায়ে অভিযুক্তের আগাম জামিন বাতিল করে দিয়েছে আদালত। তিনি এখন পলাতক। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।’’ তাঁদের আরও বক্তব্য, ‘‘আমাদের মনে হয় শুধু এক জন ব্যক্তি একা এই ধরনের আইনি নথি বিকৃত করতে পারেন না। এর পিছনে শহরে কোনও চক্র কাজ করছে। তারা এই ধরনের আইনি নথি টাকার বিনিময়ে তৈরি করে দিচ্ছে।’’