(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং নব্যা হরিদাস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাস। তাঁর দাবি, নির্বাচনী হলফনামায় নিজের এবং পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত বহু তথ্য লুকিয়েছেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেস অবশ্য বিজেপি নেত্রীর অভিযোগকে ‘প্রচারে আসার চেষ্টা’ বলে কটাক্ষ করেছে।
গত ১৩ নভেম্বর ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়েনাড়, দুই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। পরে রায়বরেলী আসনটি রেখে ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দেন রাহুল। আর কেরলের ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন প্রিয়ঙ্কা। ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের সত্যেন মোকেরিকে চার লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন। আর তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
নব্যা শনিবার কেরল হাই কোর্টে প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে ‘নির্বাচনী পিটিশন’ দাখিল করেন। এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্রে যা বলা হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর। প্রিয়ঙ্কা এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তির খতিয়ানের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনোনয়নপত্রে লুকোনো হয়েছে।” বিষয়টি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে দাবি করেন নব্যা। শীতকালীন অবকাশের জন্য আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি কেরল হাই কোর্ট বন্ধ থাকবে। মনে করা হচ্ছে, তার পরেই এই মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে।
নব্যার এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, “খুবই সস্তা উপায়ে প্রচারে আসার চেষ্টা।” কংগ্রেস নেতা মনিকম টেগোর বলেন, “বিজেপির অভিযোগ জানানোর অধিকার রয়েছে। তবে সত্য আমাদের পক্ষেই থাকবে।”