প্রতীকী ছবি।
বাইশ বছর আগের এক খুনের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস অভিযুক্ত অবধেশ সিংহকে ওই সাজা দিয়েছেন। শনিবার বিচারক অবধেশকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর পোস্তা থানা এলাকার বড়বাজারের সোনাপট্টিতে খুন হন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় কপূর। ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত অবধেশকে। এ দিন সাজা ঘোষণার পরেই আনন্দে আদালতের ভিতরে কেঁদে ফেলেন নিহত সঞ্জয়ের স্ত্রী সঙ্গীতা কপূর। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীর খুনিরা সাজা পাবে, সে আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু মামলার সরকারি তিন কৌঁসুলি নবকুমার ঘোষ, আলপনা ভৌমিক এবং অমলেন্দু চক্রবর্তীর জন্য বিচার শেষ হয়েছে এবং দোষী সাজা পেয়েছে।’’
আইনজীবীরা জানান, তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ধর বিভিন্ন অকাট্য তথ্যপ্রমাণ এবং সাক্ষী জোগাড় করেছিলেন বলেই এত বছর পরে হলেও দোষী সাজা পেয়েছে। সঞ্জয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল অবধেশের। সেই কারণেই সঞ্জয়কে খুন করে সে এবং তার দুই সঙ্গী। সেই দু’জনের খোঁজ এখনও মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, জরিমানার ৫০ হাজার টাকা বিচারক সঞ্জয়ের স্ত্রীকে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর রায়ে। এ দিন রায় দানের আগে বিচারক অবধেশের কাছে জানতে চান, তার কিছু বলার আছে কি না। অবধেশ দাবি করে, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই বিচারক তাঁর রায় ঘোষণা করেন।