প্রতীকী ছবি।
মামার বাড়িতে গিয়ে ছাদে যাওয়ার বায়না ধরেছিল ছ’বছরের ছেলেটি। সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে ছাদে গিয়েওছিল। তেতলা বাড়ির ছাদে ছোটাছুটি করে খেলার ফাঁকে আচমকা রেলিংয়ের ফাঁক গলে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হল ওই শিশুর। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে গুরুতর জখম হলেন বাবাও। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই শিশুর নাম অংশুমান দাস। তার বাবা অভিজিৎ দাসকে সঙ্কটজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেশায় মুদিখানা ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তির মাথা, কোমর ও পায়ের আঘাত গুরুতর। বরাহনগর হাসপাতাল সূত্রের খবর, মাথায় গুরুতর চোট পেয়েই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। তার শরীরেও বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে।
স্থানীয়েরা জানান, বরাহনগরের মান্নাপাড়ায় থাকেন অভিজিৎবাবু। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। এ দিন বিকেলে তিনি দোকান বন্ধ রেখে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যেই মামার বাড়িতে যেত প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া ওই শিশু।
স্থানীয়েরা জানান, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মান্নাপাড়ার ওই তেতলা বাড়ির ছাদ থেকে আচমকাই পরপর ছেলে ও বাবাকে রাস্তায় আছড়ে পড়তে দেখে হকচকিয়ে যান লোকজন। তাঁদের চিৎকারেই বাইরে বেরিয়ে আসেন অংশুমানের মামা ও অন্যেরা। দু’জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন প্রাক্তন দুই কাউন্সিলর অঞ্জন পাল ও দিলীপনারায়ণ বসু। অংশুমানের পরিজনেরা জানান, ঘরেই ছোটাছুটি করছিল সে। বারবার বায়না করায় অভিজিৎ শর্ত দিয়েছিলেন, ছাদে গিয়ে ছোটাছুটি করতে পারবে না। এর পরেই তিনি ছেলেকে নিয়ে ছাদে যান। আচমকাই তিন ফুটের রেলিংয়ের মঝের ফাঁক দিয়ে নীচে পড়ে যায় শিশুটি। ছেলেকে ধরতে গিয়ে উল্টে যান বাবাও। ঘটনার পর থেকে ছেলের খোঁজে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন অংশুমানের মা।