দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র
বছরের শেষ রবিবার দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। বাসে ওঠার সময় গিয়ে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সুজয় মণ্ডল নামে চৌবাগা হাই স্কুলের ওই ছাত্রের বাড়ি প্রগতি ময়দান থানা এলাকার আড়ুপোতায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকালে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন সুজয়। বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের উপর আড়ুপোতা বাস স্টপ থেকে ২১৩ রুটের একটি বেসরকারি বাসে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে যান তিনি। বাসের পিছনের চাকা আঘাত করে তাঁর কোমরে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সোমবার সুজয়ের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘‘রবিবার বিকালে উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামে এক বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল সুজয়। বাড়ি থেকে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে দুর্ঘটনার।’’ ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বাসে ঠিক করে ওঠার আগেই চালক বাস চালাতে শুরু করেন। ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান ওই তরুণ।
গত সপ্তাহেই বছরের শেষ ক্রাইম কনফেরান্সে নগরপাল এই ধরণের দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গত তিন মাসের পথ দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে তিনি ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন যে, সম্প্রতি বাস থেকে নামা বা ওঠার সময় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তিনি ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেও বলেন।
অভিজ্ঞ পুলিশকর্মীরা বলছেন, এই ধরণের দুর্ঘটনায় বাসের যাত্রীর যেমন অসতর্কতা থাকে, চালক এবং কন্ডাকটররাও তাডাহুড়ো করতে থাকেন। চালকদের এই অযথা তাড়াহুড়োই রুখতে চাইছেন পুলিশের আধিকারিকরা। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘প্রয়োজনে ফের আমরা বাসের চালকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করব। আমরা তাঁদের বলছি, স্টপেজের বাইরে কোথাও থামাবেন না। যাত্রী ঠিক ভাবে উঠতে এবং নামতে পারলেন কি না, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।’’