টালা সেতু। —ফাইল চিত্র
সঙ্ঘাত মিটিয়ে নেওয়ায় উদ্যোগী হয়েছিল রেল ও রাজ্য। এ বার দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হল। বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের সদর দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন রেল ও রাজ্যের শীর্ষকর্তারা। আলোচনার বেশির ভাগ সময়েই মাঝেরহাট এবং টালা সেতুর বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতভেদ থাকলেও, এ দিন তাতে ইতি টেনে দু’তরফে মোট চার জন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে যে সব বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে, তা ওই টাস্কফোর্স দেখবে বলে জানানো হয়েছে।
শহরের দুই প্রান্তে টালা এবং মাঝেরহাট সেতু— যাতায়াতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর নতুন করে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। অন্য দিকে, টালা ব্রিজের ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করার পর, তা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। যে হেতু সেতু দু’টি রেললাইনের উপর দিয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে রেলেরও ছাড়পত্র প্রয়োজন। রেল সূ্ত্রে খবর, ওই টাস্ক ফোর্স টালা ব্রিজের বিষয়েটি খতিয়ে দেখার পর সাত দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। তার পরেই ওই ব্রিজ ভেঙে ফেলার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
উত্তর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতু ভেঙে ফেলার আগে ট্রাফিক সামলানোর বিষয়টিও ভাবাচ্ছে কলকাতা পুলিশকে। এ বিষয়ে যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পান্ডে বলেন, ‘‘কবে থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। তবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে কোনও চিন্তার কারণও নেই।’’
আরও পড়ুন: পানশালার পর ফ্ল্যাটের ছাদে গিয়েও দেদার মদ্যপান, বেসামাল হয়েই কি মৃত্যু সুইটির
অন্য দিকে, মাঝেরহাট ব্রিজের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। ওই ব্রিজের নকশা নিয়ে প্রথম দিকে রেল ও রাজ্যের মধ্যে সঙ্ঘাত বাধলেও পরে তা মিটে যায়। বিভিন্ন নথি এবং নকশার বিষয়টি খতিয়ে দেখে রেললাইনের অংশে নির্মাণের ছাড়পত্র দেবে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। রেল সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই সিআরএস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। যদিও তারাতলা এবং মোমিনপুরের দিকের অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিন বাবার মৃতদেহ আগলে ছেলে, বেহালা মনে করাচ্ছে রবিনসন স্ট্রিট
দিন কয়েক আগে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগামী মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ বার রেলও তৎপরতা দেখাতে শুরু করল।