Tallah Bridge

কাজ শেষ ৯০ শতাংশ, মহালয়ার দিনই খুলে যেতে পারে টালা সেতু

প্রশাসন সূত্রের যদিও খবর, ২৪ তারিখ থেকে টালা সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে বলে ধরা হলেও উদ্বোধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হতে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৯
Share:

কাজ শেষ ৯০ শতাংশ। ফাইল চিত্র।

নির্মাণকারী সংস্থার তরফে রাজ্য সরকারকে টালা সেতু হস্তান্তরের দিন ধার্য হয়েছিল চলতি মাসের ১৬ তারিখ। কিন্তু তার মধ্যে কাজ শেষ হওয়া এক রকম সম্ভব নয় ধরে নিয়েই আগামী ২৪ তারিখ সেতু হস্তান্তরের পরবর্তী দিন নির্ধারিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে তার পরের দিনই মহালয়া। এতেই ওই এলাকার অনেকে মনে করছেন, মহালয়ার দিনই উদ্বোধন করা হতে পারে নতুন করে তৈরি হওয়া টালা সেতুর। ওই এলাকার বেশ কিছু পুজো কমিটিও আশায় রয়েছে মহালয়ার দিনেই উদ্বোধন হওয়ার ব্যাপারে। প্রশাসন সূত্রের যদিও খবর, ২৪ তারিখ থেকে টালা সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে বলে ধরা হলেও উদ্বোধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হতে চলেছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে টালা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে।

Advertisement

২০১৮ সালে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে শহরের একাধিক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ২০১৯ সালে জমা পড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার সেই রিপোর্টে জানানো হয়, টালা সেতু ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন। প্রথমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলেও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় টালা সেতু ভেঙে ফেলার কাজ। দু’বছরের বেশি সময় ধরে কাজ চলার পরে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় ঘোষণা করেন, মহালয়ার আগেই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। এর পরেই জোর তৎপরতায় কাজ শুরু হয় টালা সেতুতে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনের চেয়ে সেখানে রাতে বেশি কাজ হয়। বড় বড় লরি রাতে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সেতুতে ওঠে। কত দূর কাজ বাকি, খোঁজ করতে গিয়ে শনিবার জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশই তৈরি হয়ে গিয়েছে সেতু।

টালা সেতুর নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার এক আধিকারিক জানান, শ্যামবাজারের দিক থেকে টালা সেতুর দিকে আসার পথে বাঁ পাশে জলের পাইপলাইনের কাজ চলছে এখনও। সেতুটি লম্বায় বেড়েছে প্রায় ১৫০ মিটার। অর্থাৎ, মোট ৯৫০ মিটার জায়গায় কাজ হচ্ছে। সেতুর দু’দিকে রেলিং দেওয়ার কাজও প্রায় শেষ। এক বার হয়ে গিয়েছে সেতুর রঙের কাজও। তবে মাঝের এক জায়গায় মেঝের কাজ এখনও কয়েক মিটার বাকি। তেমনই বাকি সেতুর উপরে সব জায়গায় বাতিস্তম্ভ বসানোর কাজও। এ দিন দেখা গিয়েছে, টালা সেতু থেকে শ্যামবাজারের দিকের রাস্তার সংযোগের কাজ চালানো হচ্ছে জোরকদমে। সোমবার থেকেই সেতুর কাজের শেষ পর্বে হাত দেওয়ার কথা। নির্মাণ সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ‘‘বৃষ্টিতে খুব সমস্যা হয়েছে। তবে যে করেই হোক, ২৪ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার নির্দেশ এসেছে। গত সপ্তাহেই নতুন করে আরও কয়েকশো শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়েছে। বাধা না এলে কাজ শেষ হতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’ স্থানীয় ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বললেন, ‘‘প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে মহালয়ার মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার নির্দেশ এসেছে। মহালয়া থেকেই হয়তো এই সেতুতে গাড়ি চলবে।’’ টালা চত্বরের অন্যতম পুজো কমিটি টালা বারোয়ারি। ওই পুজোর কর্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘নতুন সেতুতে, নতুন উদ্যমে, উত্তরের উত্তর— লেখা প্রচার-ব্যানার টাঙিয়েছি। মহালয়ায় সেতু খুলে যাওয়া মানে টালার পুজোয় ফের মানুষের ঢল। সেতুকে বাদ দিয়ে যেমন জীবন চলে না, টালা সেতুর গুরুত্ব অস্বীকার করে পুজোও চলে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement