—ফাইল চিত্র।
মাস কয়েকের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে নতুন করে তৈরি হওয়া টালা ব্রিজ। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে ওই সেতু সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার কথা মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উদ্বোধন হতে পারে টালা ব্রিজের। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল টালা ব্রিজ। পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে সেতু। মঙ্গলবার বিধানসভায় মলয় বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে টালা ব্রিজের কাজ শেষ করা যায়। তার পর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এই ব্রিজের উদ্বোধন হতে পারে।’’
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার কিছু দিনের মধ্যেই ওই সেতু ভাঙার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। উত্তর কলকাতার ওই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, তার র্জীর্ণ অবস্থার কথা। তার পরেই রেলের সঙ্গে আলোচনার পর সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নতুন করে সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে।
সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করার পরামর্শ আগেই দিয়েছিল রাইটস। তাদের মতকে সমর্থন জানিয়ে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। তিনি দেশের অন্যতম সেরা সেতু বিশেষজ্ঞও বটে। রায়না টালা সেতুর হাল পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিবের কাছে। সেটা ২০১৯-এর অক্টোবর। মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।
তার পর টালা সেতুর নীচ দিয়ে প্রচুর ট্রেন চলে গিয়েছে। গত মে মাসে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও পূর্ত দফতরের দায়িত্ব বদল হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী তখন ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। নতুন মন্ত্রিসভায় মলয় ঘটক পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় মলয়ই জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলেই টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হতে পারে।