পুজোয় কোনও অশান্তি হয়নি বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই বিরোধী দলকে এক হাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বললেন, ‘‘বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনেই করেন না। যখন ইচ্ছা হয়, তখন আসেন, যখন ইচ্ছা হয় না তখন আসেন না। এতে আমার মর্মবেদনা হয়, তবে খারাপ লাগে না।’’
এর পরই নতুন বিধায়কদের অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন, তাঁদের অভিনন্দন। তবে মানুষের জন্য কাজ করতেই এখানে এসেছেন, সেটা মনে রাখবেন। আমরা আমাদের ভালোবাসা আশীর্বাদ পেয়েছি। মানুষের আশীর্বাদ অহঙ্কার করার জায়গা নয়।’’ ভাষণের একেবারে শেষে মমতার কটাক্ষ, ‘‘বিরোধীদের বলব শুভ বিজয়া, শুভ দীপাবলি, শুভ ছট পুজো এবং শুভ অহঙ্কার।’’
মঙ্গলবার বক্তৃতার শুরুতে পুজো নির্বিঘ্নে কেটেছে বলে উল্লেখ করেন মমতা। সেই সঙ্গে বলেন, ছট পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও শান্তি বজায় রাখতে হবে।
বক্তৃতার মধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মমতা। বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার প্রকল্প সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের সেরা প্রকল্প হবে তা। তিন কোটি মানুষ এই ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। ১৬ নভেম্বর থেকে ফের শুরু হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। দুয়ারে রেশন প্রকল্পও শুরু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। লক্ষ্মীর ভান্ডারে উপকৃত হয়েছেন বহু মহিলা। শীঘ্রই শুরু হবে পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ।স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে কয়েক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী উপকৃত হয়েছে।’’
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের প্রসঙ্গও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়। বললেন, ‘‘মানুষটা চলে গেল হঠাৎ করে। পাশে বসেই আড্ডা মারতেন। তাঁর তো কোভিড হয়নি। কিন্তু হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে চলে গেলেন। কিছু জিনিস মানা যায় না।’’
মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষেই বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী। বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। উপনির্বাচনে খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের চার প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মণ্ডল, উদয়ন গুহ ও ব্রজকিশোর গোস্বামী। মঙ্গলবার বেলা ১২টার কিছু পর শপথগ্রহণ করেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা।