বিশাল গৌতম ছবি সংগৃহীত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরের সরোবরে সাঁতার কাটতে নেমে ডুবে মৃত্যু হল ছাত্রের। শুক্রবার সকালে, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (এসআরএফটিআই) ঘটনা। পঞ্চসায়র থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম বিশাল গৌতম (২৯)। তাঁর বাড়ি গুজরাতের সুরাতে।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বিশাল সাঁতার জানতেন। প্রথমে সরোবরের জলে তিনি সাঁতার কাটেনও। কিন্তু দ্বিতীয় বার সাঁতার কাটার সময়ে সরোবরের মাঝামাঝি জায়গায় আচমকা ডুবে যান। পুলিশের অনুমান, বিশাল নিয়মিত সাঁতার কাটতেন না। তাই সম্ভবত তাঁর দমে ঘাটতি হওয়ার ফলেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আবার সরোবরের নীচে থাকা জলজ উদ্ভিদ পায়ে আটকেও এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এসআরএফটিআই-এর অতিথিশালার কর্মীরা জলে নেমে কিছু ক্ষণ খোঁজার পরে বিশালকে উদ্ধার করেন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এসআরএফটিআই সূত্রের খবর, ওই যুবক অ্যানিমেশন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা মোহন গৌতম রেলের কর্মী। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা সন্ধ্যার পরে বিমানে রওনা দেন। সুরাত বিমানবন্দর থেকে ফোনে মোহন বলেন, ‘‘বিশাল বাড়ির ছোট ছেলে। কলকাতা থেকে জানানো হয়েছে, ওর দুর্ঘটনা ঘটেছে। আইসিইউ-তে রয়েছে।’’
ঘটনার বিষয়ে রাত পর্যন্ত এসআরএফটিআই-এর তরফে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে সেখানে গেলে জানানো হয়, সোমবার কর্তৃপক্ষ কথা বলবেন।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশাল ও তাঁর এক বন্ধু জলখাবার খেয়ে এসআরএফটিআই-এ পৌঁছন। সাঁতার কাটার ইচ্ছা প্রকাশ করে বিশাল জলে নামেন। কিন্তু দ্বিতীয় বার সরোবরের একটি অংশ পারাপারের সময়েই ডুবে যান। সেই সময়ে জলে রাখা একটি নৌকা নিয়ে তাঁর ওই বন্ধু বিশালকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু বিশাল ডুবে গিয়েছেন দেখে তিনি চিৎকার করে সাহায্য চান। তখনই নিরাপত্তাকর্মীরা জলে নেমে বিশালকে উদ্ধার করেন। তাঁকে বাইকে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি।