Durga Idol Immersion

বিসর্জন-পর্বে দমদমের ঘাটগুলিতে কঠোর নজরদারি, বিশেষ জোর পরিচ্ছন্নতায়

মঙ্গলবার থেকে দমদমের তিন পুরসভার প্রায় ১৫টি জলাশয়ে দমদম ও পার্শ্ববর্তী একাধিক এলাকার কম-বেশি সাড়ে সাতশো প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৩৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে দ্রুত জল থেকে কাঠামো তুলে নেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছে দমদমের তিনটি পুরসভা। পুরসভাগুলি জানাচ্ছে, প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশি বন্দোবস্ত তো আছেই। তা ছাড়া, কাঠামো তোলার জন্য আনা হয়েছে পে-লোডার ও ক্রেন। ঘাটগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রশিক্ষিত কর্মী।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে দমদমের তিন পুরসভার প্রায় ১৫টি জলাশয়ে দমদম ও পার্শ্ববর্তী একাধিক এলাকার কম-বেশি সাড়ে সাতশো প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার কথা। এ দিন তার মধ্যে বেশ কিছু প্রতিমার নিরঞ্জন-পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। বিসর্জন ঘিরে সমাগম হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। সে দিকটি বিবেচনায় রেখে জলাশয় সংলগ্ন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজেও। কারণ, পুজোর মধ্যে তুলনায় কম হলেও ডেঙ্গিতে সংক্রমণের ঘটনা থেমে থাকেনি। সে কথা মাথায় রেখেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দিয়েছে পুর প্রশাসন।

উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, তাঁরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনও তাদের মতো করে তৈরি হয়েছে। দমদমের ধোবিয়াপুকুর, পঞ্চায়েত পুকুর, দক্ষিণ দমদমের দেবীঘাট, উত্তর দমদমের বকুলতলা, সূর্যগঙ্গা ঘাট-সহ যে সব জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে, সেই ঘাটগুলিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলেছে।

Advertisement

দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, মঙ্গলবারই অধিকাংশ প্রতিমা বিসর্জন হবে। বিসর্জন-পর্ব মিটতে বুধবার ভোর হয়ে যাবে। তার পরে দ্রুত জল থেকে কাঠামো তুলে সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। গোটা ব্যাপারটি সুষ্ঠু ভাবে এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।

একই সঙ্গে বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুজো মিটে গেলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আবর্জনাও দ্রুত সাফ করার প্রয়োজন। কারণ, তা না হলে আবার মশার উপদ্রব বাড়তে পারে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ পার্থ বর্মা জানান, পুরসভার সাফাইকর্মীরা প্রতিদিন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন। দশমীর পরে সেই কাজে আরও জোর দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement