ফাইল চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়া-চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এই বিষয়টিতে প্রশাসনের তরফে তেমন ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে আচমকাই সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত-কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। দু’সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য।
নির্দেশিকায় শুধু জানানো হয়েছে, সন্দীপবাবু যখন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ছিলেন, সেই সময়কার একটি বিষয়ের তদন্তের জন্য এই কমিটি গড়া হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়টি কী, স্বাস্থ্য দফতরের কেউই তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। এমনকি, তদন্তের নির্দেশিকাতেও কারণ বা বিষয়টির উল্লেখ নেই। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পদে থাকার সময়ে সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য দফতর ভিজিল্যান্স তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের মতে, ভিজিল্যান্সের ছাড়পত্র পেয়ে তবেই অধ্যক্ষ পদে যোগ দেওয়ার নিয়ম। আর জি কর হাসপাতালে অধ্যক্ষ পদে যোগ দেওয়ার আগে সন্দীপবাবুকেও সেই নিয়ম মানতে হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে আচমকা তদন্ত কেন?
বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সব মহলই মুখে কুলুপ এঁটেছে। স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশের মতে, আর জি করের বিক্ষোভকারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তাই প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কৌশল হিসাবে এই তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। অন্য দিকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আর জি করে স্টেন্ট কেলেঙ্কারির তদন্ত করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করেছিলেন সন্দীপবাবু। সেটিও কি এই কমিটি গড়ার নেপথ্যে একটি কারণ, উঠছে সেই প্রশ্ন। আন্দোলনরত এক পড়ুয়ার কথায়, “পুরনো কী বিষয় রয়েছে, জানি না। তাই তদন্ত কেন, বলতে পারব না। তবে প্রায় এক মাস অধ্যক্ষ কলেজে আসছেন না।’’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সন্দীপবাবুকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।