সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কেন তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই? সূত্রের খবর, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করার অভিযোগ রয়েছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। বাগ কমিটির রিপোর্টেও লেখা হয়েছিল, কল্যাণময়ের নির্দেশেই ভুয়ো বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু কোন পথে এই জায়গায় পৌঁছলেন কল্যাণময়?
২০১২-য় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন কল্যাণময়। ঠিক চার বছর, ২০১৬ পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি। সেই বছরই তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয়। এ বছর ২২ জুন ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সেই পদে আসেন।
পাশাপাশি, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া উপদেষ্টা কমিটিরও অন্যতম সদস্য ছিলেন কল্যাণময়। বাগ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা কমিটি থেকেই ভুয়ো সুপারিশ যেত। বাগ কমিটির রিপোর্টে যে কমিটিকে ভুয়ো বলেও চিহ্নিত করা হয়েছিল। স্কুলে চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে। আর সেই সময় সেই পর্ষদের শীর্ষে ছিলেন কল্যাণময়ই।
অভিযোগ, গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। প্যানেলের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরে শূন্যপদের তথ্য নিয়ে বেআইনি ভাবে সেই তথ্য কাজে লাগান এসএসসির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা এবং সুপারিশপত্র ছাপানোর কাজ করেছিলেন সমরজিৎ আচার্য। শান্তিপ্রসাদ নিজে ভুয়ো সুপারিশপত্র কল্যাণময়কে দিতেন। কল্যাণময় সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে দিয়ে নিয়োগপত্র তৈরি করতেন।