—ফাইল চিত্র
করোনা নিয়ে বেসামাল এই অবস্থার মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামী কাল, বুধবার মেট্রোকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেন পরিষেবা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সকাল-সন্ধ্যায় যে আটটি বিশেষ মেট্রো চলে, তার একটিও ওই দিন চলবে না।
এ ছাড়াও ইয়াসের মোকাবিলায় একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। টালিগঞ্জে মেট্রোর হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় যাতে
ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে একাধিক জেনারেটর এনে রাখা হয়েছে। ঝড়ের গতিপ্রকৃতি জানতে আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মেট্রোর আধিকারিকেরা।
এ ছাড়া, মেট্রোর তিনটি কারশেডের কোথাও যাতে গাছ পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রেকের ক্ষতি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। ঝড়ের দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও রেক যাতে গড়িয়ে না যায়, তার জন্য রেকের চাকায় ব্লক লাগানোর পাশাপাশি, লাইনের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কারশেডের ক্ষতি এড়াতে শাটার খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শেডের টিনের পাত যাতে খুলে উড়ে না যায়, তার জন্য বোল্ট দিয়ে ওই সব অংশ আটকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, মাটির উপরের মেট্রো স্টেশনগুলিতে যাতে টিনের শেড বা কাচ ভেঙে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ওই সব জায়গা ঘিরে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মাটির নীচের স্টেশনগুলি যাতে প্লাবিত না হয়, তার জন্য নিচু এলাকায় জল নিকাশির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত লিফট বা এসক্যালেটরে জল চুঁইয়ে পড়ে, সেগুলি বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন ভবনের ছাদে সব ক’টি বজ্রনিরোধী যন্ত্র যাতে ঠিকমতো কাজ করে, তা-ও দেখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমপান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্বে খুঁটিনাটি প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে।’’