Covid-19

নম্বর প্লেট নজরবন্দি করতে বিশেষ ক্যামেরা

যে কোনও গাড়ির নম্বর স্বয়ংক্রিয় ভাবে পড়তে পারে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই এএনপিআর ক্যামেরা। এই মুহূর্তে শহরের ৬০টি জায়গায় এই ক্যামেরা রয়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০২:২১
Share:

প্রতীকী ছবি

আমপানের তাণ্ডবে শহরের রাস্তায় লাগানো অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ক্যামেরা দেখে ট্র্যাফিক আইন ভাঙা গাড়িকে চিহ্নিত করার কাজ বাধা পাচ্ছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত সিসি ক্যামেরা মেরামতির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অটোম্যাটিক নম্বর প্লেট রিডার (এএনপিআর) ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।

Advertisement

যে কোনও গাড়ির নম্বর স্বয়ংক্রিয় ভাবে পড়তে পারে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই এএনপিআর ক্যামেরা। এই মুহূর্তে শহরের ৬০টি জায়গায় এই ক্যামেরা রয়েছে। স্থির হয়েছে, আরও ৭৫টি জায়গায় ১৫০টি ওই ক্যামেরা বসানো হবে। যাতে ট্র্যাফিক আইন ভাঙা গাড়িগুলিকে সহজে চিহ্নিত করা যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, ১৫০টি এএনপিআর ক্যামেরার জন্য প্রায় ছ’কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এক-একটির দাম পড়বে সাড়ে চার লক্ষ টাকারও বেশি। গত মাসে দরপত্রও ডাকা হয়েছে। পুজোর আগেই ওই ক্যামেরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হবে বলে খবর।

ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড) প্রযুক্তিতে ওই ক্যামেরা দ্রুত গতিতে যাওয়া গাড়িকে একটি ফ্রেমের মধ্যে স্থির রেখে ছবি তুলতে পারে। ক্যামেরার সঙ্গেই গতি মাপার যন্ত্রও রয়েছে। গাড়ি বা মোটরবাইকের নম্বর-সহ কত কিলোমিটার গতিতে সেটি চলছে, ওই ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশের নিজস্ব সার্ভারে তা-ও রেকর্ড হয়ে যায়। যেখান থেকে গাড়ির চালক বা মালিকের কাছে পুলিশের তরফে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জরিমানা ধার্য ক‍রে এসএমএস যায়।

Advertisement

মূলত যে সব এলাকায় এখনও স্পিড ক্যামেরা নেই, সেখানেই ওই ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তাগুলিকে চিহ্নিত করে এএনপিআর ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানিয়েছেন লালবাজারের এক কর্তা।

কলকাতা পুলিশ এলাকায় এএনপিআর ক্যামেরা বছর কয়েক আগে বসানো হয়েছিল। কোনও গাড়ি ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে পালিয়ে গেলেও ওই ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। একই সঙ্গে দিনে বা রাতে অপরাধে যুক্ত কোনও গাড়িকে চিহ্নিত করা যায় ওই ক্যামেরা দিয়ে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, আমপানে অন্য ক্যামেরার মতো এগুলিরও ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন বসানো এএনপিআর ক্যামেরা কাজ শুরু করলে রাতের দিকেও সিগন্যাল অমান্য বা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পার পাবেন না চালক।

পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ সিসি ক্যামেরা শুধু দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির নম্বরই চিহ্নিত করতে পারে, অন্ধকারে কোনও গাড়িকে শনাক্ত করতে পারে না। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এএনপিআর ক্যামেরা গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবিও স্পষ্ট ভাবে নিতে পারে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাতেও এ কাজ করতে পারে এএনপিআর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement