ফাইল চিত্র
‘বুর্জ খলিফা’র আকর্ষক আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে মণ্ডপে। তা সত্ত্বেও শ্রীভূমির পুজোয় জনস্রোতের মোকাবিলায় বেশ কিছু বিশেষ ট্রেন বাতিল করতে হল। একই সঙ্গে নবমীর বিকেল ৪টের পর থেকে দশমীর ভোর ৪টে পর্যন্ত ডাউন লাইনে শিয়ালদহমুখী শহরতলির সব বিশেষ ট্রেনকে বিধাননগর স্টেশনে থামতে নিষেধ করা হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, ভিড় ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। দশমীর পরে ওই সব ট্রেন ফের চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শ্রীভূমির পুজোয় দূরদূরান্ত থেকে দর্শকদের আনাগোনা ঠেকানোর ব্যাপারে এতটাই সংশয় ছিল যে, রাজ্য প্রশাসন ও বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বুধবার রাতেই বিষয়টি পূর্ব রেল এবং শিয়ালদহ ডিভিশনকে জানানো হয়। তার পরেই রেল বৃহস্পতিবার, নবমীর সকালে এবং আজ, শুক্রবার দশমীতে রাতের দিকে বেশ কিছু বিশেষ ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনের সাত জোড়া এবং হাওড়া ডিভিশনের আট জোড়া বিশেষ ট্রেন রয়েছে। রেলকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ওই সব ‘বিশেষ লোকাল ট্রেনে’ পুজোর কয়েক দিন ভিড় উপচে পড়ছিল বলে অভিযোগ। রাজ্য প্রশাসনের অভিযোগ ছিল, গ্রামগঞ্জের বহু মানুষ দুপুরের পরে শহরে এসে বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে রাতের দিকে শ্রীভূমির মণ্ডপ দেখতে যাচ্ছিলেন। বাড়ি ফিরছিলেন বেশি রাতের বিশেষ ট্রেনে। অনেকে ওই মণ্ডপ দেখার টানে মাঝরাতেও শহরে আসছিলেন বলে অভিযোগ।
পুজোর তিন দিনে রাতের কলকাতায় গণপরিবহণ সচল থাকায় বহু মণ্ডপেই ভিড় হয়েছে।
তবে জনসমাগমে সকলকে ছাপিয়ে যায় শ্রীভূমি। অনেকেই কাছ থেকে ওই সুউচ্চ মণ্ডপ দেখার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। রেল সূত্রের খবর, সেই বাঁধভাঙা উৎসাহে রাশ টানতেই রাজ্য প্রশাসনের অনুরোধে বিশেষ ট্রেন বাতিল এবং বিধাননগর স্টেশনে ট্রেন না-থামানোর মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেট বুধবার রাতেই বিষয়টি শিয়ালদহ ডিভিশনকে জানায়। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সমস্যার কথা জানানো হয় পূর্ব রেলকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই রেলের তরফে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিয়ালদহ শাখায় যে-সব বিশেষ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে এক জোড়া শিয়ালদহ-রানাঘাট, এক জোড়া শিয়ালদহ-নৈহাটি, এক জোড়া শিয়ালদহ-বনগাঁ, এক জোড়া শিয়ালদহ-ডানকুনি এবং দু’জোড়া শিয়ালদহ-বারুইপাড়া ট্রেন। একই ভাবে হাওড়া ডিভিশনে মেন শাখায় দু’জোড়া হাওড়া-বর্ধমান ট্রেন, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার দু’জোড়া ট্রেন ছাড়াও হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় তিন জোড়া এবং তারকেশ্বর-শেওড়াফুলি শাখায় এক জোড়া ট্রেন বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।