—প্রতীকী ছবি।
কোনও তোলাবাজি, সরকারি জমি দখলদারি ও বেআইনি নির্মাণকাজ বরদাস্ত করা হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথা স্থানীয়দের জানাতে পল্লি কমিটির কার্যালয়ে বৈঠক করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিই। বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তিনি। রবিবার রাতে, কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় একটি পল্লি কমিটিতে বৈঠক করার জন্য গিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা পুরপ্রতিনিধি শ্রীতমা ভট্টাচার্য। অভিযোগ, পল্লি কমিটির অফিসের চাবি ছিল শাসকদলের মদতপুষ্ট, ওই কমিটিরই অন্য পক্ষের কাছে। চাবি চাওয়া হলেও তা দিতে রাজি না হওয়ার তার প্রতিবাদ করেন শ্রীতমা। তখনই বচসা শুরু হয়। হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। শ্রীতমার অভিযোগ, পল্লি কমিটির অফিসের অদূরে রয়েছে একটি ক্লাব। সেই ক্লাব এবং সংলগ্ন মাঠে রাত হলেই নেশার আসর বসাচ্ছেন একদল স্থানীয় যুবক। পাশাপাশি, শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা ওই গোষ্ঠী এলাকায় বিভিন্ন বেআইনি নির্মাণেও মদত দিচ্ছে। তা নিয়ে আপত্তি করলেও কর্ণপাত করা হয় না বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁর আরও অভিযোগ, নির্মাণের সময়ে ওই গোষ্ঠীর কথা না শোনা হলে রাতের অন্ধকারে ইমারতি দ্রব্য লোপাট করে দেওয়া হয়।
শ্রীতমা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ জানাতেই বৈঠক ডেকেছিলাম। তাতে অপর গোষ্ঠীর স্বার্থে ঘা পড়তে পারে বুঝেই আমায় হেনস্থা করা হয়েছে।’’ যদিও পল্লি কমিটির অন্যতম কর্তা সুমিত সাহা বলেন, ‘‘রাত ১০টা নাগাদ উনি পল্লিতে এসেছিলেন বৈঠক করতে। তা নিয়ে অফিসে থাকা কয়েক জনের সঙ্গে বচসা হয়। কিন্তু বাকি অভিযোগ কেন করছেন, বলতে পারব না়।’’ স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘‘যা ঘটেছে, সেটা কাঙ্খিত নয়।’’ পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘এই ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকে বলেছি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’’ পুরপ্রতিনিধির অভিযোগের ভিত্তিতে সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশকর্তারা।