তবে কি শিবির বদল করবেন তৃণমূল বিধায়ক? সে কথা অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
শুভেন্দুকে নিয়ে সমস্যা ছিলই, এ বার জল্পনা বাড়ালেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। মঙ্গলবার সটান চলে গেলেন মুকুল রায়ের বাড়িতে। এমনিতেই তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে একাধিকবার ঘনিষ্ঠমহলে কথা পেড়েছেন। তাঁকে বোঝাতে টিম পিকে কথাও বলেছে।
তবে কি শিবির বদল করবেন তৃণমূল বিধায়ক? সে কথা অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। মুকুল রায়ও শীলভদ্রের দলবদলের বিষয়ে কিছু বলছেন না। শুধু বলছেন, শীলভদ্র মাঝে মধ্যেই তাঁর বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবারও এসেছিলেন। এখানে রাজনীতির গন্ধ খোঁজার কোনও মানে হয় না।
তৃণমূলের অন্দরে যাঁরা বেসুরো মন্তব্যে নজর কেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে শীলভদ্র দত্ত অন্যতম। প্রথমে তাঁর সম্পর্কে রটে, রাজনীতি থেকে সরে আসতে চান তিনি। আর ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর নেই। দিন কয়েক আগে তাঁর বিজেপিতে যোগদান করার জল্পনাও শুরু হয় আবার। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনায় তিনি নিজেই জল ঢেলে ঘনিষ্ঠমহলে জানান, রাজনীতি থেকেই সন্ন্যাস নিতে চান তিনি। কিন্তু সেই ব্যারাকপুরের বিধায়কই হঠাৎ হাজির মুকুল রায়ের বাড়িতে।
এ দিকে মঙ্গলবার, অর্থাৎ জেলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের দিন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত জানিয়ে দিলেন বুধবারের অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন না। গত সোমবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রণ পাইনি, যদি আমন্ত্রণ পাই এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকি তাহলে ভেবে দেখব।’’ কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন এখনও পর্যন্ত তিনি আমন্ত্রণ পাননি এবং বুধবার তিনি তার নিজস্ব কর্মসূচি ঠিক করে ফেলেছেন। ওইদিন তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টর নিয়ে ঢুকব প্রজাতন্ত্র দিবসের কুজকাওয়াজে, হুঙ্কার কৃষক নেতার
খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের আমন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জানান, ‘‘আমাদের দলের নীতি কি হবে, সেটা আমরা সংবাদ মাধ্যমকে জানাবো না।’’
আরও পড়ুন: স্বচক্ষে দেখলাম অভিষেক বচ্চন ‘ডেড বডি’ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন!