ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা নিজস্ব চিত্র।
রেড রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীর। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। রাস্তার ধারে রেলিং ভেঙে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসের নীচে বাইক আরোহী ওই পুলিশকর্মী চাপা পড়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিনিবাসটি হাওড়া-মেটিয়াবুরুজ রুটের। দুর্ঘটনার ফলে বাসের ভিতরে সিট দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে জানলার কাচ। ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে চশমা, জলের বোতল, চটি। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে হাত লাগান সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও। সবাই মিলে আহতদের বাস থেকে বার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার তীব্রতায় রাস্তার ধারের একটি রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় তিনটি ক্রেন। তাতে করেই বাসটিকে সরানো হয়। নিয়ে যাওয়া হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্সও। তাতে করেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৪ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে ১০ জন আহতের চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটির গতি বেশ জোরে ছিল। হঠাৎ করে উল্টো দিক থেকে এক বাইক আরোহী এসে পড়ায় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। দুর্ঘটনায় চালক নিজেও আহত হয়েছেন বলে খবর। যদিও ঘটনাস্থল থেকে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরে বাইক আরোহী বাসের নীচে চাপা পড়েন। পরে ক্রেনের সাহায্যে বাস তুলে আরোহীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পরিচয় প্রথমে জানা যায়নি। পরে জানা যায় তিনি পুলিশকর্মী। তাঁর নাম বিবেকানন্দ দাব (৩৫)। বাড়ি ঝাড়গ্রামে।
এই দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ যানজট হয় রেড রোডে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে যান ডিসি ট্র্যাফিক অরিজিৎ সিনহা। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন তিনি।