মামলার শুনানি হতে পারে সোমবার। ফাইল চিত্র।
অফলাইন নাকি অনলাইন? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা-বিতর্ক নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। শুক্রবার এই মামলা দায়ের করেন জনৈক বদরুল করিম। মামলাকারীর আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা অফলাইন পরীক্ষার পক্ষে। তবে সংশ্লিষ্ট মামলায় মোট তিনটি আবেদন করা হয়েছে। এক, পুরো সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা নিতে হবে। দুই, সিলেবাসের পরিমাণ কমাতে হবে। তিন, হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিতেই হবে।
আগামী সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হওয়ার পরেই শুরু হয় পড়ুয়া বিক্ষোভ। কলেজ স্ট্রিট চত্বরে বিক্ষোভ-অবস্থানের চেষ্টা করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, অফলাইন ক্লাস পর্যাপ্ত হয়নি। পাঠ্যক্রমএও শেষ হয়নি। সরকারের তরফে বার বার ছুটি ঘোষণার ফলে পড়াশোনায় বিগ্ন ঘটেছে। এমতাবস্থায় তাঁরা চাইছেন অনলাইনেই পরীক্ষা হোক।
তবে বেশ কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষেরা জানান, মাত্র দেড় মাস ক্লাস হয়েছে বলে পড়ুয়ারা যে-অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়। এক একটা সিমেস্টারে চার মাস মতো ক্লাস হওয়ার কথা। অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে কমবেশি সাড়ে তিন মাসের মতো ক্লাস হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মে মাসের প্রথম দিকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়ার কথা বললেও কলেজগুলি অনলাইনে ক্লাস চালু রেখেছিল। তার পরেও কেন আন্দোলন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা অফলাইনে করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তাঁকে নিয়ে নেটমাধ্যমে ‘অশ্লীল মন্তব্য’ করা হচ্ছে বলে মুখর হয়েছেন স্বয়ং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা অফলাইনেই হবে। আর সিদ্ধান্ত বদলের প্রশ্নই ওঠে না।