ফাইল চিত্র।
করোনার লেখচিত্র এখন নিম্নমুখী। তাই যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অফলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তাদের দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এমনই দাবি তুললেন শিক্ষকদের একাংশ এবং কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। ওই শিক্ষকদের মতে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মূল্যায়নের যে পদ্ধতি ঘোষণা করেছে, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছে না পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া হোক।
সম্প্রতি সিবিএসই বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে, যে পড়ুয়ারা দ্বাদশের মূল্যায়নে সন্তুষ্ট হতে পারবে না, তাদের ১৫ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফলাইন পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। ‘শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’-এর সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে এ বার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লক্ষের কাছাকাছি। যারা অফলাইনে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, সেই সংখ্যা মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় অনেকটাই কম। এখন করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী। তাই কোভিড-বিধি মেনে ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করা হোক।”
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড বুধবারই জানিয়ে দিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা অফলাইনে আগামী ১৭ জুলাই নেওয়া হবে। কিছু শিক্ষকের প্রশ্ন, যাঁরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন, তাঁদের বয়স উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বয়সের আশপাশেই হয়। জুলাইয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স যদি অফলাইনে হতে পারে, তা হলে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের অফলাইনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে বাধা কোথায়? বিশেষত যেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ঘোষণা করেছে, কোনও পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন পছন্দ না হলে সে অফলাইনে পরীক্ষায় বসতে পারবে।
‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “অনেক মেধাবী পড়ুয়া আশঙ্কা করছে, পর্ষদ এবং সংসদের মূল্যায়ন যে পদ্ধতিতে হবে, তাতে তাদের ফল প্রত্যাশা মতো না-ও হতে পারে। তাই ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। যে সময়ে মূল্যায়নের ফল বেরোবে, সেই সময়ে তাদের লিখিত পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হোক।’’
যদিও শিক্ষকদেরই অন্য একটি অংশ আবার বলছেন, করোনার লেখচিত্র এখন নিম্নমুখী হলেও ফের তৃতীয় ঢেউ আসার একটা আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি, ১৮ বছরের কম বয়সিরা এখনও প্রতিষেধক পায়নি। তাই এই অবস্থায় ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সেটাও ভেবে দেখা প্রয়োজন।