ফিরহাদ হাকিম ফাইল চিত্র।
তালতলায় রবীন্দ্রমূর্তির ফলকে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের নাম নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ফিরহাদ জানান, তিনি ওই ফলকের বিষয়ে কিছু জানেন না। বলেন, ‘‘কারা ওই ফলক লাগিয়েছিল, তা জানি না। ফলকের অনুষ্ঠানে আমরা যাইনি।’’ মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘কিসের কেলেঙ্কারি? ফলক কি আমাকে জিজ্ঞাসা করে লাগিয়েছিল? নাম থাকলেই কি বড় কেলেঙ্কারি? নরেন্দ্র মোদী ও নীরব মোদীর এক সঙ্গে ছবি আছে। তাঁদের বৈঠকের ছবি রয়েছে। এটার কে তদন্ত করবে? একজনকে নমস্কার করলেই কি কেলেঙ্কারি হয়ে যায়?’’
দেবাঞ্জনের একের পর এক কীর্তি সামনে আসার পরই ওই ফলকে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তার পর শুক্রবার বিকেলে ফলকটি তুলে ফেলা হয়। ফলক নিয়ে ফিরহাদের আরও দাবি, ‘‘ওই ফলক লাগানোর ওয়ার্ক অর্ডার নেই। আমরা ওই অনুষ্ঠানে যাইনি। আমার নামে এমন কত ফলক আছে, তা আমি নিজেই জানি না। আমরা যারা রাস্তায় নেমে মানুষের কাজ করি, তাদের কান ধরে অপদস্থ করার সুযোগ বেশি পাওয়া যায়। তাও আমরা কাজ করে যাব।’’
শুধু তাই নয়, ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে কড়া বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এটা বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অন্যায় বরদাস্ত করেন না।’’
ভুয়ো টিকা নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমরা রোজ কেউ না কেউ, কাউকে না কাউকে গালাগালি করি। কিন্তু, এতকিছুর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্বাস্থ্য দফতর যাঁরা ভুয়ো টিকা নিয়েছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন। যাঁরা ভুয়ো টিকা নিয়েছেন, তাঁদের দুশ্চিন্তা রয়েছে। ভুয়ো শিবিরে অনেকেই প্রতারিত। তাঁদের বিশ্বাস ফেরাতে হবে। কিন্তু, তাঁদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা আগে জরুরি ছিল। আর সেটাই করা হয়েছে।’’ যেখান সেখান থেকে কোভিডের টিকা না নিতেও অনুরোধ করেন পুর প্রশাসক। বলেন, ‘‘কলকাতা শহরের ক্ষেত্রে পুরসভার নির্দিষ্ট কেন্দ্রে টিকা নিন। যে কোনও সরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার সিএমওএইচ-র বলে দেওয়া হাসপাতাল থেকে টিকা নিন।’’