শিয়ালদহ আদালত।—ফাইল চিত্র।
ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার পৃথক দু’টি মামলায় শুক্রবার দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
আট বছরের এক কিশোরকে গলায় ধারাল অস্ত্রের একাধিক কোপ মেরে খুনের চেষ্টার দায়ে বিচারক লীলাময় মণ্ডল এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন। দোষীর নাম অনুপ রানা। অন্য মামলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে একাধিক বার ধর্ষণের দায়ে সোনারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা পরিমল গুহকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস।
সরকারি কৌঁসুলি উত্তম ঘোষ জানান, পরিমল ট্যাংরার চিংড়িঘাটা লেনে ওই মহিলার বাড়িতে যাতায়াত করত। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মহিলার অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাঁরই বাড়িতে তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করে। মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাঁর বাবা ট্যাংরা থানায় পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ট্যাংরা থানার তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাস (বর্তমানে চারু মার্কেট থানায় কর্মরত) গ্রেফতার করেন পরিমলকে। বিচারক দোষী ব্যক্তিকে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার ৯০ শতাংশ ওই মহিলাকে দিতে হবে।
অন্য মামলার সরকারি কৌঁসুলি উত্তম চক্রবর্তী জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে আরিয়ান রানা নামে এক কিশোরকে তারই আত্মীয় অনুপ পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আরিয়ান সেই সময়ে স্কুলে যাচ্ছিল। তার জেঠা এবং প্রতিবেশী এক যুবকও ওই কিশোরকে বাঁচাতে গিয়ে অনুপের অস্ত্রে জখম হন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তার গলায় ১৮টি সেলাই করে তার প্রাণ বাঁচান।