Road Accident

ফের বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যু স্কুটিচালকের

হাওড়া ময়দান-শিয়ালদহ রুটের ওই বাসটি স্কুটিতে ধাক্কা মারার পরে সেটির চাকার নীচে ঢুকে যান হাসিম এবং কাজমি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৪৪
Share:

হাসিম খান।

গত রবিবার বিকেলে রাজাবাজারের কাছে যাত্রী তোলা নিয়ে দুই বাসের রেষারেষির জেরে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধার। তার ঠিক তিন দিনের মাথায়, বুধবার দুপুরে ফের একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল শহরে। বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল স্কুটিচালক এক বৃদ্ধের। এ বারের ঘটনাস্থল মুচিপাড়া থানা এলাকার শিয়ালদহ উড়ালপুলের মহাত্মা গাঁধী রোড র্যাম্প। ওই বৃদ্ধ তাঁর ব্যবসার সঙ্গীকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ হাসিম খান (৬৫)। তাঁর বাড়ি কলুটোলা লেনে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি স্কুটির আরোহী মহম্মদ সৈয়দ কাজমি। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

Advertisement

এলাকার লোকজনের থেকে পুলিশ জেনেছে, হাওড়া ময়দান-শিয়ালদহ রুটের ওই বাসটি স্কুটিতে ধাক্কা মারার পরে সেটির চাকার নীচে ঢুকে যান হাসিম এবং কাজমি। ওই অবস্থায় স্কুটিকে কয়েক মিটার হিঁচড়ে নিয়ে যায় বাসটি। পরে স্কুটির চালক এবং আরোহীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসিম সেখানে মারা যান। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বাসের বাঁ দিক দিয়ে যাচ্ছিল স্কুটিটি। বাসটি সেই সময়ে ওভারটেক করতে যায়। কিন্তু বাঁ দিকে যে একটি স্কুটি যাচ্ছে, তা লক্ষ করেননি বাসচালক। একই দাবি করেছেন ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী শাহাজাদ খান।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পরেই বাস নিয়ে পালান চালক মহম্মদ মজিদ। পরে অবশ্য তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। আটক করা হয়েছে বাসটিও। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত-ভার মুচিপাড়া থানার হাতে থাকলেও পরে নিয়ম মেনে তা তুলে দেওয়া হয়েছে লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের ফেটাল স্কোয়াডের হাতে।

Advertisement

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মাণকাজের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর ৬৫-র হাসিম। মিশন রো-এ তাঁর বাড়ি রয়েছে। এ দিন সকালে হাসিম কলুটোলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে মিশন রো-এর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আবার কলুটোলায় ফিরে কাজমিকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতের দিকে রওনা দেন। হাসিমের পাড়ায় গিয়ে এ দিন দেখা যায়, ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানান, হাসিমের দুই মেয়ে, দুই ছেলে। বড় জামাই আজিম খান জানান, ১৫ দিন আগে বিয়ে হয়েছে হাসিমের ছোট মেয়ের। মৃতের ভাইপো হামজা খান জানান, তাঁর কাকা যে আর নেই, সেটা এখনও বাড়ির কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার মৃতের দেহের ময়না-তদন্ত করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement