প্রতীকী ছবি।
লকডাউন পর্বে টানা প্রায় আট মাস স্কুল বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে স্কুলবাস মালিক এবং ওই পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা। কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি মিলিয়ে হাজার চারেক বাসমালিক এবং প্রায় ১৫ হাজার কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’। যাত্রিবাহী বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার পথকরে ছাড় ঘোষণা করলেও স্কুলবাস মালিকেরা সেই সুবিধা পাননি। লকডাউন পর্বে আয় না থাকা সত্ত্বেও বাসমালিকেরা ওই কর দেওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের সাধ্যমতো বেতন দিয়েছেন বলে সংগঠনের দাবি। যে সব বাসমালিক পথকর দিতে পারেননি, তাঁদের পরে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে। আর্থিক সঙ্কট কাটাতে এ বার তাই কর ছাড়ের পাশাপাশি স্কুল খোলার দাবিতে শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে মিছিল করলেন সংগঠনের সদস্যেরা। পুলিশ তাঁদের হাজরা পার্কের কাছে আটকে দেয়। পরে এক প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর বাসস্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্যার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিক চিঠি দিলেও ফল হয়নি। বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পথে নেমেছি।’’ স্কুলবাস সংগঠন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পথকর এবং জরিমানায় ছাড় দাবি করেছে। অভিভাবকেরা যাতে ৫০ শতাংশ ভাড়া মিটিয়ে দেন, সে দাবিও তোলা হয়েছে। সরকারের কাছে দ্রুত স্কুল খোলার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।