স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন কোনও ভাবেই প্লাস্টিকের পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। ফাইল ছবি।
বাজার ছেয়ে গিয়েছে প্লাস্টিকের তেরঙা পতাকায়। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সেই পতাকাই কম দামে কিনছে ক্লাব থেকে শুরু করে নানা প্রতিষ্ঠান, এমনকি অনেক স্কুলও। যদিও স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা এ বার একটু বেশি দাম হলেও কাগজের পতাকাই কিনেছেন। তাঁরা পড়ুয়াদের বুঝিয়েছেন, কোনও ভাবেই প্লাস্টিকের পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র পরিবেশের কারণেই নয়, প্লাস্টিকের পতাকা অনেক ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুযায়ী বানানো হয় না। কী ধরনের উপাদান দিয়ে জাতীয় পতাকা বানানো যাবে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে। বাজারে যে মানের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পতাকা বিক্রি হচ্ছে, সেই মানের প্লাস্টিক দিয়ে পতাকা বানানোর কথা বলা নেই সরকারি নিয়মে।
প্রধান শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রজাতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজো একই দিনে পড়ায় আজ, বৃহস্পতিবার স্কুলে প্রচুর ছেলেমেয়ে উপস্থিত থাকবে। তাই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পতাকার ব্যবহার ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কিছু প্রাথমিক নিয়মাবলী পড়ুয়াদের জানাবেন তাঁরা।
বাঙুরের নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানালেন, বাজারে খোঁজ নিয়ে তাঁরা দেখেছেন, ১০০০টি প্লাস্টিকের ছোট পতাকার দাম যেখানে ৩৫০ টাকা, সেখানে অতগুলি কাগজের পতাকা কিনতে গেলে দিতে হবে ৪০০ টাকার মতো। ফলে অনেকেই প্লাস্টিকের পতাকা কিনছেন। তবে নারায়ণের দাবি, ‘‘আমরা স্কুল সাজাতে প্লাস্টিকের পতাকা ব্যবহার করছি না। প্রয়োজনে কম পতাকা দিয়ে স্কুল সাজাব। কিন্তু শুধু কাগজের পতাকাই লাগাব।’’