Roof Collapse

ছাদ ভেঙে ও দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত দুই

বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে পড়ায় শুক্রবার শহরের দু’জায়গায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম মানা দাস (৫৫) ও জগন্নাথ রায় (৫২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৬
Share:

মর্মান্তিক: ছাদ ভেঙে স্ত্রীর মৃত্যুর পরে দরকারি নথির জন্য ধ্বংসস্তূপ সরানোর অপেক্ষায় বিমলকুমার দাস নামে এক বাসিন্দা। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে পড়ায় শুক্রবার শহরের দু’জায়গায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম মানা দাস (৫৫) ও জগন্নাথ রায় (৫২)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ গরফা থানার কালীপদ রায় লেনে একটি পুরনো বাড়ির একাংশের ছাদ ভেঙে পড়ে। সে সময়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে বাজ পড়ে। আরসঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে পড়ে ছাদ। চাপা পড়েন মানা দাস। তাঁর স্বামী বিমলকুমার দাসের কথায়, ‘‘আমি তখন বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্ত্রী দরজার কাছে বসে ছিল। বাজ পড়তেই ও বাড়ির ভিতরে চলে যায়। তখনই ছাদটা ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য আমি বেঁচে যাই।’’ মানাকে ভগ্নস্তূপ থেকে বার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই শরিকি বাড়িটি প্রায় ৭০ বছরের পুরনো। তারই একাংশে বিমল ও মানা থাকতেন। তাঁরা নিঃসন্তান। বাড়ির মাঝখানে দেওয়াল। অন্য অংশে থাকেন বিমলের ভাইপো। বিমলের অংশের ছাদ পুরোপুরি ভেঙে পড়লেও ভাইপোর ছাদ ভাঙেনি। তবে সেটিরও বেহাল দশা। বিমলের কথায়, ‘‘বাড়িটার সংস্কারের জন্য চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমাদের একার পক্ষে সম্ভব ছিল না।’’ বিমল জানান, ভগ্নস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে তাঁর জরুরি নথিপত্র। সেগুলি সরানোর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

এক সময়ে ফুল বিক্রি করতেন বিমল। কিন্তু পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পাওয়ায় এখন বেশি হাঁটাচলা করতে পারেন না। পাশে নিজেরই একচিলতে বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন। সেই আয়েই সংসারচলে। তিনি বললেন, ‘‘যে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম, সেটিও ভেঙে পড়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। স্ত্রী মারা গেলেন। এর পরে বাঁচব কী ভাবে!’’ এ দিনই ভেঙে পড়া বাড়িটির বিপজ্জনক অংশ ভাঙার কাজ শুরু করে পুরসভা।

অন্য দিকে, এ দিনই বেলা ১২টা নাগাদ রবীন্দ্র সরোবর থানার লেক ভিউ রোডে একটি চারতলা বাড়ি লাগোয়া একতলার জেনারেটর ঘর মেরামতির কাজ চলছিল। হঠাৎ সেই ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। নীচে চাপা পড়েন জগন্নাথ রায়। তাঁর বাড়ি বিহারে। এ দিন তিনি ছাড়াও আরও চার জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছুটে আসে। গ্যাস কাটারের সাহায্যে জগন্নাথকে বার করা হয়। পরে এসএসকেএমে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দু’টি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement