ডিভাইডার টপকে গাড়িতে ধাক্কা একটি বাসের। —নিজস্ব চিত্র।
বেহালায় দুই বাসের সংঘর্ষে আহত হলেন বেশ কয়েক জন যাত্রী। সঙ্কটজনক অবস্থায় এক জনকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের একটি বড় দল। ১৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক জনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সোমবার সকালে ঠাকুরপুকুরের ৩এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে নামখানা রুটের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ২৩৫ নম্বর রুটের একটি বাসকে। ধাক্কার অভিঘাতে ডিভাইডারে উঠে যায় ২৩৫ নম্বর রুটের বাসটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দু’টি গাড়িও।
এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক ফল ব্যবসায়ী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁর নাম নির্মলকুমার দাস। ৭৫ বছর বয়সি এই বৃদ্ধ কুঁদঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাথায় চোট পেয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
গত ৪ অগস্ট বেহালা চৌরাস্তার কাছে ঘাতক লরি পিষে দিয়েছিল বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। লরির ধাক্কায় আহত হন সৌরনীলের বাবাও। তার পর ওই এলাকায় ড্রপ গেট, ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল পুলিশ। বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য অভিযোগ করেছিলেন, পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি।