কেদারনাথে রাহুল গান্ধী। ছবি: ফেসবুক।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে এক দম তৃণমূল স্তরে জনসংযোগ করতে ‘চায়ে পে চর্চা’র মতো কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল বিজেপি। এ বার জনসংযোগে চা-কে জুড়ে নিলেন রাহুল গান্ধীও। ব্যক্তিগত সফরে উত্তরাখণ্ডের শৈবতীর্থ কেদারনাথে গিয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। সেখানে সোমবার সকালে তাঁকে দর্শনার্থীদের হাতে চায়ের কাপ তুলে দিতে দেখা গেল। এই নিয়ে অবশ্য রাহুলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও।
হেলিকপ্টাকে চেপে সোমবার ভোরে কেদারনাথে পৌঁছন রাহুল। তাঁকে স্বাগত জানান মন্দিরের পুরোহিত, সেবায়েত এবং উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের কর্মীরা। রাহুলের মাথায় ছিল নীল রঙের টুপি, গায়ে জ্যাকেট। হঠাৎই একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে পড়ে অন্য দর্শনার্থীদের চা দিতে থাকেন রাহুল। তিনি নিজে হাতে সকলকে চায়ের কাপ এগিয়ে দিচ্ছেন শুনে দোকানের সামনে ভিড় জমে যায়।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুলের এই উত্তরাখণ্ড সফর তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচির বর্ধিত অংশ। এর আগে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে সেখানকার ‘সেবা’ কাজে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। সোমবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কেদার-যাত্রার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে রাহুল লেখেন, “কেদারনাথ যাত্রার সময়ে দর্শনার্থীদের চা দিলাম।” রাহুল আরও লেখেন যে, “আজ আমি উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ধামে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি পুজো দিয়েছি। হর হর মহাদেব।”
পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে রাহুলের এই কেদার-সফর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক থেমে থাকেনি। উত্তরাখণ্ড বিজেপির মিডিয়া-ইন-চার্জ মনবীর সিংহ চৌহান রাহুলকে আক্রমণ করে বলেন, “আমি আশা করব যে, কেদারনাথ রাহুলজিকে সদ্বুদ্ধি দেবেন এবং দেশের স্বার্থে তাঁর দলের নেতারা দুর্নীতি-বিরোধী নীতি নেওয়ার অঙ্গীকার করবেন।” এর পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ, ভোটের স্বার্থেই রাহুলের এই কেদার-দর্শন। বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, “প্রকৃত সদ়্বুদ্ধি বিজেপিরই প্রয়োজন। বিজেপি মনে করে, ওরা বাদে সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আসলে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা বিজেপিতে গিয়ে আশ্রয় পেয়ে থাকেন।”