প্রতীকী ছবি
তাপমাত্রা বাড়তে না বাড়তেই সল্টলেক এবং নিউ টাউনে শুরু হয়েছে মশার উপদ্রব। বিকেল থেকেই মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন বাসিন্দারা।
গত কয়েক দিন ধরে শহরের তাপমাত্রা বার বারই ওঠানামা করছে। আর তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উৎপাত। নিউটাউনের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, শুধু এ বছর নয়, প্রতি বছরই শীতের এই সময়ে মশার সমস্যা খুব বেড়ে যায়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জানলা-দরজা খোলারও উপায় থাকে না। বাইরে হাঁটাচলা করাটাও মুশকিল হয়ে পড়ে।
নিউ টাউনের বিএ ব্লকের বাসিন্দা রণজিৎ সাহা বললেন, ‘‘গত কয়েক বছরে মশার সমস্যা আরও বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে যে ধোঁয়া বা তেল স্প্রে করা হয়, সেগুলির গুণগত মান খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, ওই সবে কোনও কাজই হচ্ছে না।’’
নিউ টাউনের তিনটি অ্যাকশন এরিয়াতেই এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মশা মারার কাজে প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। মশার উপদ্রব কমার বদলে দিনদিন আরও বেড়ে চলেছে। এ ই ব্লকের বাসিন্দা দীপক বিশ্বাস জানালেন, খালের দু’পাশের নর্দমাগুলি নিয়মিত সাফাই করা দরকার। মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অবিলম্বে এই বিষয়ে জোর দিক প্রশাসন।
সল্টলেকের বাসিন্দাদেরও একাংশের বক্তব্য, পুরকর্মীরা মশা মারার তেল স্প্রে করছেন, ধোঁয়াও দিচ্ছেন। কিন্তু তার পরেও মশার উপদ্রব কমছে না। বিশেষত, খালপাড় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে মশার দাপট সব চেয়ে বেশি। যদিও ইতিমধ্যে কেষ্টপুর খালে জলের প্রবাহ বেড়েছে। সেখানে নৌকা নামিয়ে ওষুধ স্প্রে করার কাজও করেছে পুরসভা। সল্টলেকবাসীর বক্তব্য, করোনার আতঙ্ক এখনও দূর হয়নি। তার মাঝেই এখন মশাবাহিত রোগ নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ বা এনকেডিএ-র শীর্ষ কর্তা দেবাশিস সেন জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই মশার এই বাড়বাড়ন্ত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই মশার তেল স্প্রে করা থেকে শুরু করে মশা নিয়ন্ত্রণের সার্বিক কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় বলেন, ‘‘মশার প্রকোপ যে বেড়েছে, তা ঠিক। মশার বাড়বাড়ন্ত রুখতে পুরসভা সক্রিয় রয়েছে। খাল ও খালপাড়ে মশার তেল স্প্রে করার পাশাপাশি ঝোপজঙ্গল সাফাই ও ফগিংয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে।