তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আমডাঙা

এলাকার তৃণমূলকর্মী শেখ ফরিদ আলির অভিযোগ, ‘‘বুধবার রাতে তিন জনের একটি দুষ্কৃতী দল আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে হামলা করে। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কোনওমতে আমি প্রাণে বেঁচে যা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:১১
Share:

ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সমর্থকেরা। ফাইল চিত্র।

শাসক দল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা, গোলমাল, গুলি চালানো ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল
উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। তবে বুধবার রাতের ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেই দাবি পুলিশের। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সমর্থকেরা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের অবরোধের জেরে কলকাতা-উত্তরবঙ্গগামী সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

তৃণমূলের একটি পক্ষের অভিযোগ, আমডাঙার আদহাটা এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোকে কেন্দ্র করে ওই বিবাদ। অন্য পক্ষের পাল্টা অভিযোগ, এলাকায় একটি মদের দোকান নিয়েই গোলমাল। ওই এলাকার তৃণমূলকর্মী শেখ ফরিদ আলির অভিযোগ, ‘‘বুধবার রাতে তিন জনের একটি দুষ্কৃতী দল আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে হামলা করে। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কোনওমতে আমি প্রাণে বেঁচে যাই।’’

এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আওয়াল সিদ্ধি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকেরা। পরে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায় ও অবরোধ তোলে। যদিও ওই এলাকার তৃণমূলকর্মী আব্দুল হামিদের পরিবারের দাবি, আব্দুল বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র রয়েছেন। আব্দুলকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

যদিও এ বিষয়ে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান এ দিন বলেন, ‘‘এ সব রাজনৈতিক ঝামেলা নয়, নিজেদের মধ্যে গোলমাল। অবরোধে দলীয় পতাকা ব্যবহার না করতে বলা হয়। তার পরে অবরোধ উঠেও যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement