—প্রতীকী চিত্র।
খাওয়ার আগেই খুন করা হয়েছিল একবালপুরের বাসিন্দা, প্রৌঢ় ডি মারিয়ানকে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রৌঢ়ের ঘর থেকে রান্না করা খাবার মিলেছে। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, খুনের আগে তাঁর জন্য রান্না করা হয়েছিল। তবে তা খাওয়ার আগেই খুন হয়ে যান প্রৌঢ়।
মারিয়ান একাই থাকতেন চারতলা ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে। পেশায় গাড়িচালক ওই প্রৌঢ় কয়েক মাস আগে সেটি ভাড়া নিয়েছিলেন। প্রতিদিন এক পরিচারিকা তাঁর রান্না করতে সেখানে যেতেন। প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি এক মহিলা ওই প্রৌঢ়ের ফ্ল্যাটে রান্না করতেন। যদিও হাসপাতালে গিয়ে সেই মহিলার সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বললে তিনি মারিয়ানের বাড়িতে রান্নার কাজের কথা অস্বীকার করেছেন। এক তদন্তকারী জানান, নার্সিংহোমে ভর্তি থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা হচ্ছে। মহিলা অন্য এক জন মহিলার নাম বলেছেন। যাঁর অস্তিত্ব মেলেনি।
বৃহস্পতিবার সকালেই একবালপুর লেনের ওই চারতলা আবাসন থেকে প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পারে, প্রৌঢ়কে গলা টিপে খুন করা হয়েছে দিন তিনেক আগে। শুক্রবার প্রৌঢ়ের এক দিদি শহরে আসেন। একই সঙ্গে খোঁজ মিলেছে তাঁর আর এক আত্মীয়ের। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে শেষ কবে কথা হয়েছিল মারিয়ানের, তা জানতে চায় পুলিশ।
খুনের আগে ফ্ল্যাটে প্রৌঢ়ের পরিচিত কেউ যে ছিলেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। দেহের পাশে যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন জিনিস এবং যৌন ক্ষমতাবর্ধক ওষুধ মেলায় পুলিশ খুনের আগে সেখানে কোনও মহিলার উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। তবে একাধিক ব্যক্তি ছিল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এক গোয়েন্দা অফিসার জানান, ওই ফ্ল্যাটে ঘটনার আগে ও পরে কারা গিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। ওই মহিলার ফোনের কল ডিটেলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।