Kidnap

অপহরণ-কাণ্ডে উঠছে বহু প্রশ্ন

স্রেফ টাকা আদায়ের জন্য অপহরণ, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা জানতে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃতদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২১ ০৬:৪৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

এক ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিচিত এক জন মহিলাকে অপহরণের ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Advertisement

স্রেফ টাকা আদায়ের জন্য অপহরণ, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা জানতে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃতদের। গত রবিবার সকালে সুজয় বিশ্বাস এবং কেয়া বসু নামে দু’জনকে বিরাটি এলাকার একটি ব্যাঙ্কোয়েটে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই দু’জনকে উদ্ধার করা হয় এবং সাত জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। একটি নীল বাতি লাগানো গাড়ি-সহ দু’টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তদন্তে নেমে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রথমত, ধৃতদের অধিকাংশের বয়স পঞ্চাশের উপরে। এই বয়সে কী ভাবে তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ল? ধৃতেরা কি দল গঠন করে এই কাজ করেছে? সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিছু তথ্য মিলেছে। যা থেকে পুলিশের অনুমান, একটি দল গঠন করে এই অপহরণ করা হয়েছে।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তিন-চার জন মূল পরিকল্পনাকারী, বাকিরা বিভিন্ন ভাবে তাদের সহযোগিতা করেছে। তবে সেই তথ্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

এর পাশাপাশি আরও প্রশ্ন পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। তা হল, নির্দিষ্ট ভাবে ওই দু’জনকেই কেন নিশানা করা হল? স্রেফ টাকা আদায়ের জন্য? না কি অপহৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে ধৃতদের পূর্ব পরিচয় থেকে কোনও শত্রুতা তৈরি হয়েছিল? এ সবও জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে যদিও পুলিশ জেনেছে, অপহৃতেরা ধৃতদের পূর্ব পরিচিত এবং ব্যবসায়িক কাজ নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। তবে সব তথ্যই পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement