জয়ন্ত সিংহ। —ফাইল চিত্র।
আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ জয়ন্ত সিংহের আরও এক শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ‘জায়ান্ট’ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল রাহুল গুপ্ত। শুক্রবার তাকে পাকড়াও করে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। শনিবার রাহুলকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুল। ওই মামলায় পুলিশ আগেই জয়ন্ত-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বরাহনগর স্টেশনের বাইরে থেকে রাহুলকে ধরা হয় বলে দাবি বেলঘরিয়া পুলিশের। এ দিন তাকে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের ভিতরে চোর সন্দেহে এক জনকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে পেটানোর ঘটনাতেও যোগ রয়েছে রাহুলের। ওই ঘটনার ভিডিয়ো (আনন্দবাজার পত্রিকা সেটির সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে আসার পরে তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় জয়ন্ত-সহ মোট ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, বছর দুই আগে কেদার সিংহ রোডের বাসিন্দা রাহুলের বাড়িতে চুরি হয়েছিল। তার পরেই চোর সন্দেহে এক জন পুরুষ ও এক জন মহিলাকে সে তুলে এনেছিল ‘জায়ান্ট’-এর ‘আদালতে’। তার পরে ওই ক্লাবের ভিতরে চলেছিল অত্যাচার।
দিনকয়েক আগে বিয়ে ছিল রাহুলের। পূর্ব-নির্ধারিত পরিকল্পনা মতো সমস্ত কিছুর আয়োজনও করা হয়েছিল। পুলিশও ওই যুবককে ধরতে সেখানে হাজির হয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতারি এড়াতে সেখানে আসেনি রাহুল। সূত্রের খবর, মা ও ছেলেকে নিগ্রহের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে রাহুলের থেকে জানার চেষ্টা করা হবে, সে চোর সন্দেহে কাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল? পাশাপাশি, ওই দলে আর কে কে ছিল, কারা বাইরে থেকে মদত দিয়েছিল, তা-ও জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।