—প্রতীকী ছবি।
যাদবপুরকাণ্ডে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া ৮বি বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ ডেকেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। পাল্টা সিপিএমের ছাত্র সংগঠনটি কলকাতা পুলিশকে ইমেল করে জানিয়েছে, তারা সমাবেশ করবেই।
প্রসঙ্গত, এসএফআই সংগঠনের সমাবেশের জন্য কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি চায়নি। তারা কেবল জানিয়েছিল, মঙ্গলবার সভা করবে। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, সেই সভা করার ব্যাপারে অনুমতি দিতে তারা অপারগ। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, "আমরা পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছি, সমাবেশ হবে। এবং ওখানেই হবে।"
গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর আনিস খানের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে ধর্মতলায় সভা ডেকেছিল বাম ছাত্র-যুবরা। তৃণমূল যেখানে ২১ জুলাইয়ের সভা করে সেখানে সভা করতে চেয়েছিল দীনেশ মজুমদার ভবন। কিন্তু অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ওয়াই চ্যানেলের সরু জায়গায় অনুমতি মিলেছিল সভা করার। কিন্তু শিয়ালদহ, হাওড়া ও পার্ক স্ট্রিট থেকে ধর্মতলামুখী যাওয়া তিন মিছিল লেনিন সরণির মুখ থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত স্তব্ধ করে দিয়েছিল। সূত্রের খবর, গত বারের সেপ্টেম্বর মডেলেই মঙ্গলবারের জমায়েত করার পরিকল্পনা করছে বাম ছাত্র সংগঠনটি।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তৃতা করার কথা মঙ্গলবারের সভায়। ঘটনাচক্রে তিন নেতাই যাদবপুরের প্রাক্তনী । যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিপিএমকে নিশানা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। সঙ্গলবার সেই সব নিয়েই ছাত্র সমাবেশ থেকে জবাব দিতে পারেন সিপিএম নেতৃত্ব। তার আগে পুলিশি অনুমতি না মেলা এবং পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া— সংঘাতের আবহ তৈরি করে দিল বলেই মনে করছেন অনেকে।