প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোর সময়ে নুঙ্গি, চম্পাহাটির বিভিন্ন বাজি কারখানা থেকে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এমনকি, কালীপুজোর আগে সেই নিষিদ্ধ বাজি শহরে ঢোকে বলেও অভিযোগ। এ বার সেই বাজি বিক্রি রুখতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ।
বুধবার চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ী এবং শহরের চারটি বাজি বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) সুখেন্দু হিরা। ছিলেন দমকল, সেনাবাহিনী ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারাও। সেখানে উপস্থিত চম্পাহাটির ব্যবসায়ীদের নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি নিয়ে সতর্ক করা হয়। স্থির হয়েছে, এ বার দুর্গাপুজোর আগে থেকে বাজি ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন বাজি বাজারের মাঠে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এ দিনের বৈঠকে শহরের ফুটপাতে বেআইনি ভাবে বাজি বিক্রির প্রসঙ্গ তুলে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘ফুটপাতে বাজি বিক্রি করা বিপজ্জনক। এর বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’ এর পরেই বাজি সংক্রান্ত অভিযোগের দ্রুত সমাধানে এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুলিশ। শহরে বাজি সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ থাকলে তা দেখবেন ওই নোডাল অফিসার।
এ দিন বৈঠকে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি ঠেকাতে কলকাতা পুলিশ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা চাই, নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি বন্ধ হোক।’’